ಬೈಬಲಿನ ಬೆಳಕಿನಲ್ಲಿ ಇಸ್ಲಾಮ್ ("Islam in Light of the Bible" in Bengali)
Video
August 20, 2015
গালাতীয় অধ্যায় ১, এখানে এমন একটি স্পষ্ট উদ্ধৃতি রয়েছে
যেখানে অন্য কোনো সুসমাচারের প্রচারকদের
সাবধান করা হয়েছে। বাইবেলের
স্তবক সংখ্যা ৬ এ রয়েছে:
"আমি এতে আশ্চর্যান্বিত যে, খ্রীষ্টের অনুগ্রহে যিনি তোমাদের
আহ্বান করেছেন, তোমরা এত শীঘ্রই তাঁকে ছেড়ে
অন্য এক সুসমাচারের দিকে ফিরে যাচ্ছ।"
এখন লক্ষ্য করুন অন্য সুসমাচারটি খ্রীষ্টের অনুগ্রহের
বিপরীত। দেখুন, সত্যিকারের সুসমাচারটি হ'ল খ্রীষ্টের
অনুগ্রহ পাওয়ার মাধ্যমে মোক্ষ প্রাপ্তির পথ।
এটি হ'ল ঈশ্বরের অনুগ্রহে মোক্ষ প্রাপ্তি,
এটি কোনো কর্মফল নয়, কেউ যেন গর্ব না করতে
পারে। বাইবেলের ৭ম স্তবকে বলা হয়েছে:
এটি আলাদা নয়, (বলা হয়েছে যে এটি সম্পূর্ণ
আলাদা সুসমাচার নয়) কিন্তু এতে কিছু
সমস্যা রয়েছে এবং যা খ্রীষ্টের সুসমাচারটির
বিকৃতি ঘটাতে পারে।
তাই এতে খ্রীষ্টের সুসমাচারের উপাদানগুলি রয়েছে
কিন্তু এটিকে বিকৃত করা হয়েছে।
৮ম স্তবকে বলা হয়েছে - আচ্ছা, আমরা তোমাদের কাছে যে সুসমাচার
প্রচার করছি, সেটি ছাড়া অন্য সুসমাচার যদি কেউ প্রচার করে
আমরা নিজেরাই করি, কিংবা স্বর্গ থেকে আগত কোনো দূতই করুন
তবে সে বিনাশ মানতের বস্তু হোক। আমরা আগে বলেছিলাম,
আমি এখনো আবার বলছি, তোমরা যা গ্রহণ করেছ তা ছাড়া আর
কোনো সুসমাচার যদি কেউ তোমাদের কাছে প্রচার করে,
সে বিনাশ-মানতের বস্তু হোক।
লক্ষ্য করুন, অন্য একটি সুসমাচারের ঘোষণাকারীর বিরুদ্ধে
এটি একটি জোরালো সতর্কবাণী, আরো জোর দেবার জন্য তিনি
পুনবৃত্তিতে নিজেকেও এর মধ্যে রেখেছেন।
উনি এ বিষয়ে খুবই স্পষ্ট। যদি আমরাও অন্য কোনো
সুসমাচার নিয়ে আসি, এমনকি যদি আমি নিজে এসে
আপনাদের বলি "দেখুন আমি আমার মন পরিবর্তন করে ফেলেছি,
এটি অন্য একটি সুসমাচার," তাহলে আমার কথাও শুনবেন না।
আর কোনো সুসমাচার নেই, একটাই মাত্র সুসমাচার রয়েছে,
বাঁচার একমাত্র পথ, এবং সেটি হল খ্রীষ্টের অনুগ্রহ
অর্জনের মাধ্যমে। তিনি বলেছেন, "স্বর্গের কোনো দূত" যদি অন্য
সুসমাচারের কথা বলেন, যেকেউ যদি অন্য সুসমাচারের
প্রচার করেন, যেকোনো দূত অন্য কোনো সুসমাচারের প্রচার করতে আসেন
"তাহলে তাঁকে বিনাশ-মানতের
বস্তু করা হোক।"
আপনারা অশুভ শক্তি সম্বন্ধে হয়তো জানেন; এমন কিছু
মেকি শিক্ষক আছেন যারা এইসব অশুভ শক্তির দ্বারা পরিচালিত হন।
তাদেরকে আমরা অপদেবতা বলে থাকি। মহম্মদ ও জোসেফ স্মিথ
উভয়েই এরকম অপদেবতা এবং আমি বিশ্বাস করি যে,
গালাতীয় ১-এর ভবিষ্যদ্বাণী হ'ল এই দুইজনের ভবিষ্যদ্বাণী।
ওনারা দাবি করেন যে ওনারা এই দৈববাণী একজন দূতের
কাছ থেকে পেয়েছেন যা হল
অন্য একটি সুসমাচার।
আজকের আমার এই ধর্মালোচনার শীর্ষক হ'ল-"বাইবেলের
আলোকে ইসলাম ধর্ম"। আমি "বাইবেলের আলোকে হিন্দুধর্ম",
"বাইবেলের আলোকে বৌদ্ধধর্ম"-এর উপরে আলোচনা
করেছি। প্রাচ্যের ধর্মগুলি সম্পর্কে আলোচনা করার সময় আমি
"বাইবেলের আলোকে ইসলাম ধর্ম"-কেও এর আওতায় আনতে চাই।
এখন আমি ইসলাম ধর্ম কিভাবে অন্য একটি সুসমাচারের প্রচার করছে
তা আপনাদেরকে দেখানোর মাধ্যমে শুরু করতে চাই। এই যে
বইটি দেখতে পাচ্ছেন এটি হল কুরআন; এটি হল ইসলাম ধর্মের
পবিত্র গ্রন্থ। আমি কয়েক মুহূর্ত পরে এটি নিয়ে
আরো কিছু বলব। এই বইটিতে যে অন্য একটি সুসমাচারের
কথা বলা আছে তা জানার জন্য খুব বেশি দূর যেতে হবে না।
এই সংস্করণের ২ নং পৃষ্ঠাতেই এটি রয়েছে। এখন আমি আপনাদের
বলছি "সুসমাচার" বলতে ঠিক কি বোঝায়।
বাইবেলের লুক, অধ্যায় ৪-এ রয়েছে:
প্রভুর আত্মা আমার উপর অধিষ্ঠিত, কেননা তিনি
দীন দুঃখীদের কাছে সুসমাচার পৌঁছে দেবার জন্য
আমাকে অভিষিক্ত করেছেন। ইসাইয়া ৬১ তেও এমন একটি
উদ্ধৃতিতে বলা হয়েছে, প্রভু পরমেশ্বরের আত্মা আমার
উপরে অধিষ্ঠিত; কেননা প্রভুই আমাকে শুভসংবাদ প্রচারের জন্য
অভিষিক্ত করেছেন। সমস্ত বাইবেল জুড়ে আপনি দেখতে পাবেন যে
এই শব্দগুলির অদলবদল হচ্ছে। আমরা আমাদের মাতৃভাষাতে
এটিকে “শুভ সংবাদ” বলতে পারি। যীশু খ্রীষ্টের অনুগ্রহে মোক্ষ প্রাপ্তি হ'ল
শুভ সংবাদ! যীশু এটি সবাইকে দিয়েছেন, কেবলমাত্র আস্থা রাখার
বিনিময়ে মোক্ষ প্রাপ্তি হল একটি অবাধ উপহার,
এটি আমাদের দ্বারা কৃত কোনো সদাচারের
ফলশ্রুতি নয়। এবারে বাইবেলের
করিন্থীয় ১ এর ১৫-এ সুসমাচারের বর্ণনা
দেওয়া আছে, এর ১ম স্তবকে বলা হয়েছে:
ভাই, আমি যে সুসমাচার তোমাদের কাছে প্রচার করছি,
যা তোমরা গ্রহণ করে নিয়েছ, যার উপর সুস্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছ;
যার দ্বারা তোমরা পরিত্রাণও পাচ্ছ, (এর অর্থ হ'ল তোমরা সুসমাচারের
দ্বারা মুক্তি পাচ্ছ) তারই কথা আমি তোমাদের মনে করিয়ে দিতে চাই।
আমি তোমাদের কাছে সেই সুসমাচার যে রূপে প্রচার করেছি,
সেই রূপে তা যদি আঁকড়ে ধরে থাক, তবে তা দ্বারা তোমরা পরিত্রাণও পাচ্ছ,
অন্যথা, তোমরা বৃথাই বিশ্বাসী হয়েছ। তোমাদের কাছে সর্বপ্রথম
আমি তাই সম্প্রদান করেছি, যা আমার নিজেরই কাছে সম্প্রদান করা হয়েছিল,
তথা: আমাদের পাপের জন্য, ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী,
মৃত্যুবরণ করলেন, তাকে সমাধি দেওয়া হল;
এবং ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী তিনি তৃতীয় দিনে পুনরুত্থিত হলেন...
খ্রীষ্টের অনুগ্রহ নামক সুসমাচার অনুযায়ী খ্রীষ্টকে সমাধিস্থ করার পরে
তিনি আবার জীবিত হয়ে ওঠার ঘটনাটিকে
বিশ্বাস করার ফলে তার অনুগ্রহে মোক্ষ প্রাপ্তি হয়,
এইভাবেই আমরা মুক্তি পাই। কোনো কাজের
ফলশ্রুতিতে বা কোনো নীতি মেনে স্বর্গে যেতে পারি না।
গালাতীয়-এর সম্পূর্ণ বই-এ
তাই লেখা আছে। যীশুখ্রীষ্ট যে মৃত্যুর পরে
আবার জীবিত হয়ে ফিরে এসেছিলেন
তার উপরে বিশ্বাস করাই মুক্তির পথ।
এখন দেখুন এই বইটির শুরুতে, আমাদেরকে
খুব বেশি ভেতরে যেতে হবে না, পৃষ্ঠা ২ অধ্যায় ২
(এই বইটি বিভিন্ন অধ্যায় বা "সূরা"-তে বিভক্ত),
এর ২৫ নম্বর আয়াতে আছে "এবং তাহাদেরকে
শুভ সংবাদ দাও।" এটিকে কি সুসমাচারের মতো শোনাচ্ছে না?
এটি হল তাদের সুসমাচার...
"যাহারা ঈমান আনয়ন করে ও সদাচার করে তাদের
শুভ সংবাদ দাও| তাহাদের জন্য রহিয়াছে জান্নাত-যাহার নিম্নদেশে নদী প্রবাহিত।
যখনই তাহাদেরকে ফলমূল খাইতে দেওয়া হইবে
তখনই তাহারা বলিবে,
'আমাদেরকে পূর্বে জীবিকারূপে যা দেওয়া হইত ইহা তো তাহাই', তাহাদেরকে
অনুরূপ ফলই দেওয়া হইবে এবং সেখানে তাহাদের জন্য পবিত্র সঙ্গিনী রহিয়াছে,
তাহারা সেখানে স্থায়ী হইবে।"
দেখুন এখানে জান্নাত এবং কুমারী সঙ্গিনীর প্রতিশ্রুতি
তাদেরকেই দেওয়া হয়েছে যারা বিশ্বাস করেন ও সৎকাজ করেন।
এবারে দেখুন খ্রীষ্টের অনুগ্রহে সুসমাচারের মতে
মোক্ষ প্রাপ্তি ঘটে বিশ্বাসের মাধ্যমে, "কাজের মাধ্যমে নয়,
পাছে কেউ যাতে অহংকার না করে।" ঈশ্বরের সম্মুখে কেউ গর্ব করে
বলতে পারবে না যে সে বিশ্বাস করে ও সদাচারি,
বাইবেলের মতে মোক্ষপ্রাপ্তির একমাত্র রাস্তা বিশ্বাস।
কিন্তু যে কেউ কাজ না ক্'রে বরং তাঁরই উপরে বিশ্বাস রাখে
যিনি ভক্তিহীনতাকে ধর্ম বলে সাব্যস্ত করেন,
তার এই বিশ্বাসই ধর্মময়তা বলে গণ্য করা হয়।
এই মর্মে দাউদ তাকে সুখী বলে ঘোষণা করেন,
যার পক্ষে ঈশ্বর তার কাজের কথা বাদেই ধর্মময়তা আরোপ করেন,
বলেন যে 'সুখী তারা, যাদের অন্যায় হরণ করা হল,
আবৃত হল যাদের পাপ।
সুখী সেই মানুষ, যার পাপ প্রভু গণ্য করেন না।
এটি হল যীশুখ্রীষ্টের সুসমাচার।
ইসলামের কাছে অন্য সুসমাচার রয়েছে যাতে বিশ্বাস করার
পাশাপাশি সৎকাজ করার কথা বলা হয়েছে।
শুধুমাত্র তাই নয়, আপনি যদি এই সম্পূর্ণ বইটিতে
এই বাক্যাংশটি পড়েন, তাহলে দেখতে পাবেন যে
সততা ও বিশ্বাসের কথা বার বার বলা হয়েছে।
শুধুমাত্র তাই নয়, এই বইটির প্রায় প্রতিটি পৃষ্ঠাতেই
নরকের কথা বলা হয়েছে। যদি আপনি এটি না করেন
তাহলে আপনি নরকে যাবেন, যদি আপনি ওটি না
করেন তাহলে আপনি নরকে যাবেন। এটি কেবলমাত্র
যীশুতে বিশ্বাসের মাধ্যমেই মোক্ষপ্রাপ্তি নয়।
কুরআনের মতে বিশ্বাস ও সদাচারই আপনাকে আপনাকে
পরিত্রাণের রাস্তা দেখাতে পারে। শুধুমাত্র বিশ্বাস করাই যথেষ্ট নয়।
ওদের পাঁচটি স্তম্ভ রয়েছে।
মোক্ষ প্রাপ্তির জন্য যা আবশ্যক তা হল
দিনে পাঁচবার নামাজ পড়া, জীবনে কমপক্ষে একবার পবিত্র স্থান
মক্কায় গেম কিউবের সামনে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করা|
বন্ধুরা, এটি অন্য একটি সুসমাচার। কুরআনের
মাধ্যমে শিক্ষা দেওয়া ভুল মতবাদগুলির বিষয়ে আলোচনা
করার পূর্বে, আপনাদেরকে আমি
মোহম্মদ কে ছিলেন এবং
কুরআন কোথা থেকে এসেছে সে বিষয়ে
একটি প্রাথমিক ধারণা দিতে চাই।
১৩-১৪০০ বছর আগে মোহম্মদ নামে একজন ধর্মপ্রচারক বাস করতেন।
এর মানে হল খ্রীষ্টের ৬-৭শত বছর পরে।
আরব দেশে বসবাসকারী একজন ব্যক্তির নাম ছিল মোহম্মদ,
তিনি নিরক্ষর ছিলেন, তিনি লিখতে ও পড়তে জানতেন না।
যখন ওনার বয়স ৪০ বছর তখন তিনি প্রকাশ করতে আরম্ভ
করলেন। তিনি প্রার্থনা করতে ও ধ্যান করতে একটি
গুহায় যেতে লাগলেন এবং গ্যাব্রিয়াল নামের একজন দেবদূত
ওনাকে দেখা দিলেন এবং জোরে চেপে ধরে বললেন
"পাঠ কর!" এবং তিনি বললেন "আমি পড়তে জানি না।"
তখন দেবদূত ওনাকে আরো জোরে চেপে ধরলেন যা প্রায়
সহ্য করার মতো ছিল না। এটি ভালুকের
আলিঙ্গন ছিল না গলা টিপে ধরার মতো
ছিল তা আমি জানি না, কিন্তু তারপরে দেবদূত ওনাকে
ছেড়ে দিয়ে আবার বললেন "পাঠ কর।"
মোহম্মদ বললেন, "আমি পাঠ করতে জানি না।" এমনটি অনেকবার
ঘটল, যতক্ষণ দেবদূত তাঁর সমস্ত কথা তার মুখে বসিয়ে দিলেন
এবং ওনাকে বললেন যে তুমি
ঈশ্বরের বার্তাবাহক
এবং তুমি ভগবানের বার্তা বিশ্বে প্রচার
করতে চলেছ। তারপরে দেবদূত ওনাকে
যা বললেন তা তিনি পাঠ করলেন।
প্রথমে ওনার মনে হয়েছিল যে কোনো অপদেবতা হয়তো
ওনাকে ভর করেছে। এটি ছিল ওনার প্রথম চিন্তা;
তিনি এই ভেবে ভীত হয়ে উঠেছিলেন যে কোনো
অশুভ শক্তি হয়তো ওনাকে বশ করে নিয়েছে।
কিন্তু তারপরে উনি বুঝতে পারলেন যে এটি হ'ল
ঈশ্বরের বাণী এবং তিনি আশ্বস্ত হলেন যে
এগুলি আসলে হল ঈশ্বরের বাণী এবং গ্যাব্রিয়েল
সত্যিই ঈশ্বরের দূত।
তাই আসলে কোরআন হল মোহম্মদের মৌখিক উক্তি,
কারণ তিনি এতে যোগ করতে থাকেন এবং
উনি এই সবকিছুই মুখস্থ করে রেখেছিলেন। তিনি
লিখতে বা পড়তে জানতেন না। তাই
সবকিছুই মুখস্থ ছিল। তিনি হয়তো লোকেদের বলতেন,
শোন আমি কোরআন-এর আরেকটা অধ্যায় জানতে পেরেছি
এবং তাদেরকে হয়তো তা মুখে মুখে বলতেন এবং
সেগুলি মন দিয়ে শুনতেন। লোকেরা হয়তো সেসব কিছু লিখে
নিয়ে সেগুলির বিতরণ করতেন। এই বিষয়টি ওনার একেবারে
মুখস্থ ছিল, এমনকি আজকের দিনেও অনেক মুসলমান আছেন
যাদের সম্পূর্ণ কোরআন মুখস্থ। এটি বাইবেলের মতো এত বড়
নয়। তারা এটিকে গানের মতো করে পড়ে,
এটি মনে রাখার উপায়। এইভাবে এটি একজন থেকে
অন্যজনের কাছে যায়। এবং মুসলিমরা বিশ্বাস করেন যে
মোহম্মদ যে একজন সত্যিকারের নবী ছিলেন কোরআন গ্রন্থটিই
হল তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ। যখনই আমরা বাইবেলের কথায় আসি,
আমরা বলি, “এই অসাধারণ বইটিকে দেখুন!” কোরআনের সম্বন্ধে
বলতে গেলে, এটি কোনোভাবেই একটি অসাধারণ বই নয়।
"ঈশ্বরের বাণী" এর নিরিখে এটি কতটা নিকৃষ্ট তা দেখার জন্য
আপনাদেরকে কয়েকটি পৃষ্ঠাই পড়তে হবে। কেবলমাত্র এই বইটিকে দেখে,
"জিওন-এর পথে" নামক রচনার শেষে টেক্সে মার্স বলেছেন
এটি হল সর্বকালের মধ্যে সবচেয়ে সত্যি।
“যদি লোকেরা কোরআন পড়ার পরে নিউ টেস্টামেন্ট পড়েন
তাহলে যীশু যে ঈশ্বর ছিলেন তা মেনে নিতে বাধ্য হবেন।
এই দুটি বইয়ের মধ্যে কোনো তুলনাই হয় না।” এই বইটির গুণমান
এককথায় অনেক নিকৃষ্ট, এবং এটি স্পস্টতই একটি মনুষ্যসৃষ্ট রচনা।
তাই তাদের কাছে এটিই যদি সবচেয়ে বড় প্রমাণ হয়
তাহলে বলতে হবে আমাকে এটি প্রভাবিত করতে পারেনি।
আসুন আমরা এবারে কিছু ভুল তথ্যের দিকে
তাকাই যা মুসলিমদের এই সবচেয়ে পবিত্র গ্রন্থে রয়েছে।
এই বইটি হল ওনারা বিশ্বাস করেন তার ভিত্তি।
ওনারা বিশ্বাস করেন যে এটি হল একান্ত ঈশ্বরের বাণী!
ওনারা বিশ্বাস করেন যে
এটি বাইবেলের থেকেও বিশ্বস্ত,
যেকোনো কিছুর থেকে
বিশ্বস্ত! এটি চূড়ান্ত।
আসুন পাশাপাশিভাবে
কিছু ভুল তথ্যের দিকে তাকাই
যা অন্য একটি সুসমাচারের শিক্ষা দেয়।
এই বইটির একেবারে শুরুতেই, কেবলমাত্র কয়েক
পৃষ্ঠা পরেই, অধ্যায় ২ স্তবক ৩৪ এ বলা হয়েছে
"যখন আমি ফিরিশতাদের বলিলাম,
'আদমকে সিজদা কর',
তখন ইবলীস ব্যাতীত সকলেই সিজদা করিল;
সে অমান্য করিল ও অহংকার করিল। সুতরাং সে
কাফিরদের অন্তর্ভুক্ত হইল।" তাই এখানে ইবলীস পাপী হল
কারণ সে নতজানু হয়ে আদমের উপাসনা করেনি। এখন দেখুন বাইবেলে
এমন কোথাও বলা আছে কি যে কাউকেই আদমের উপাসনা করতে হবে?
কোনো দেবদূত কি কখনো বলেছেন যে নতজানু হয়ে তার উপাসনা কর?
এটি একটি অদ্ভুত মিথ্যা মতবাদ। বাইবেলে বলা
হয়েছে “তোমার ঈশ্বর প্রভুকেই প্রণাম করবে,
কেবল তাঁরই উপাসনা করবে।” রক্ত মাংসের তৈরি
প্রভু যীশু খ্রীষ্টের উপাসনা করার জন্য মুসলিমরা আমাদের
নিয়ে সমালোচনা করার চেষ্টা করে,
এটি আশ্চর্যজনক নয় কি? কিন্তু
ওনারা আদমের উপাসনা করার শিক্ষা দিচ্ছেন, ইবলীস পাপ
করেছিলেনে কারণ তিনি আদমের উপাসনা করেননি। দেখুন
এখানে আবার মর্মোনিজমের সাথেও
মিল রয়েছে। নবী, বৃঘাম ইয়ং
(মর্মোনিজমের দ্বিতীয় নবী) বলেছেন যে আদম ঈশ্বর ছিলেন।
এখন মর্মোনরা আর এটিকে বিশ্বাস করেন না
কিন্তু বৃঘাম ইয়ং এই শিক্ষাই দিয়েছিলেন। এটি একটি উদ্ভট অদ্ভুত
মতবাদ। এটি অনেকটা এখানে যা বলা হচ্ছে
তার অনুরূপ, আপনাকে আদমের উপসনা করতে,
আদমের সামনে নতজানু হতে কেউ কেন বলবে?
এর কোনো মানেই হয় না।
এটি আরো মজার বিষয়, অধ্যায় ২ স্থবক ৫৪,
এখানে রয়েছে "আমরা মুসাকে বইটি এবং
মোক্ষ প্রাপ্তি সম্বন্ধে বলেছি যাতে আপনাদেরকে সঠিক পথে
চালনা করা যেতে পারে।" তাই এই সমস্ত বই জুড়ে দাবি
করা হয়েছে যে মুসার এই বইগুলি আসলে ঈশ্বরের বাণী।
আসলে এটি ওল্ড টেস্টামেন্ট ও যীশুর শিক্ষাকে প্রতিষ্ঠিত করছে।
যদি এই বইটির মাধ্যমে প্রদত্ত শিক্ষা মূসা ও ঈসার আইনানুগ শিক্ষাকে
নাটকীয়ভাবে বিরুদ্ধাচরণ করে। তা সত্বেও বইটি এই একই জিনিসের
ধারাবাহিকতা বলে দাবি করে। অধ্যায় ২ স্তবক ৯৭ এ বলা হয়েছে
"গ্যাব্রিয়্যাল আল্লাহর নির্দেশে তোমার হৃদয়ে কুরআন
পৌঁছাইয়া দিয়াছে, যাহা উহার পূর্ববর্তী কিতাবের সমর্থক এবং
যাহ মু'মিনদের জন্য পথপ্রদর্শক ও শুভসংবাদ।" আপনি কি এটা শুনেছেন?
ধর্মগ্রন্থ মানে লিখিত! অধ্যায় ২ স্তবক ৮৭ এ বলা আছে
“নিশ্চই আমি মূসাকে কিতাব দিয়েছি এবং তার পর্যায়ক্রমে রাসূলগণকে
প্রেরণ করিয়াছি, মরিয়ম তনয় ঈসাকে স্পষ্ট প্রমাণ দিয়েছি।”
তাই বার বার এটি একই কথা বলছে। স্তবক ৯১ এ বলা হয়েছে
"যখন তাহাদেরকে বলা হয়, 'আল্লাহ যাহা অবতীর্ণ করিয়াছেন
তাহাতে ঈমান আনয়ন কর', তাহারা বলে 'আমাদের প্রতি যাহা
অবতীর্ণ হইয়াছে আমরা তাহাতে বিশ্বাস করি।'
অথচ তাহা ব্যাতীত সবকিছুই তাহারা প্রত্যাখ্যান করে,
যদিও উহা সত্য এবং যাহা তাহাদের
নিকট আছে তাহার প্রত্যয়নকারী।"
সুতরাং কোরআন-এর মতে,
কোরআন আসলে বাইবেলকে সমর্থন করে।
কোরআন হল বাইবেলের পূর্বানুবৃত্তি।
কোরআন বাইবেলের বিরুদ্ধাচারণ
করে না, এবং যদিও
এটি এর সমস্ত শিক্ষার বিরুদ্ধাচারণ করে।
আমি কিছু উদাহরণ দিচ্ছি। 'দ্বিতীয় বিবরণ' এর ২৪ নং অধ্যায়ে যান।
আসুন দেখি বাইবেলে যা
ব্যাখ্যা করা আছে এই বইটি সেই বিষয়গুলিকে
প্রতিষ্ঠিত ও সমর্থন করে কিনা। আমরা কেবলমাত্র
একটু উপর উপর আলোচনা করব, এবং বইটির শুরুতেই
কি আছে দেখব, এবং আমরা সমস্ত ভুল মতবাদ
এবং কোনগুলি বাইবেলের, ঈশ্বরের বাণীর বিরুদ্ধাচরণ
করছে তা দেখব। এখন আমি আপনাদের জন্য
এখানে কোরআন থেকে কিছু পড়ছি, এবং আপনাদেরকে দেখাচ্ছি
যে কিভাবে এটি ঈশ্বরের বাণীগুলির বিরুদ্ধাচরণ করছে।
কোরআন-এর ২য় অধ্যায়, ১ম অধ্যায়
কেবলমাত্র একটি ছোট ভূমিকা, এবং ২য় অধ্যায়ে
আমরা রয়েছি (এটিকে 'গরু' বলা হয়)।
এখানে আমি যা কিছু বলছি সব 'গরু' থেকে বলছি।
এটি হল প্রথম মুখ্য অধ্যায়। এই সবকিছুই আসছে গোশালা থেকে।
তাহলে দ্বিতীয় বিবরণে যাওয়ার পূর্বে আমরা ২য় অধ্যায়ে ছিলাম।
(না না, ৩য় অধ্যায় শুয়োর নয়,
তারা শুয়োরের মাংস খায় না)।
'গরু' অধ্যায়ের ২৩০ নম্বর স্তবকে বিবাহ বিচ্ছেদের বিষয়ে বলা আছে
"যখন আপনি আপনার স্ত্রীদের তালাক দেবেন,
এবং যখন তারা তাদের অপেক্ষা করার চুড়ান্ত সময় পার করে নেবে,
তখন তারা তাদের স্বামীদের পুনরায় বিবাহ করাকে
আটকাতে পারবে না যদি তাদের মধ্যে কোনো সম্মানজনক
চুক্তি থাকে। যদি কোনো ব্যক্তি তার স্ত্রীকে তালাক দেয়,
তবে সেই স্ত্রী অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে সেই ব্যক্তির
থেকে তালাক না পাওয়া পর্যন্ত সে আবার বিবাহ করতে পারবে না।"
আপনারা কি কিছু বুঝতে পারলেন? আসুন এটিকে বোঝার চেষ্টা
করি, ইসলামের মতে বহুবিবাহ এবং বিবাহবিচ্ছেদ বৈধ।
এখানে বলা হয়েছে, যদি কেউ স্ত্রীকে ত্যাগ করে, তবে সেই মহিলা
যদি অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে এবং সেই ব্যক্তির থেকে তালাক পায়,
তবেই সে আগের স্বামীকে বিয়ে করতে পারবে।
বাইবেল এমন শিক্ষা দেয় না!
দ্বিতীয় বিবরণে ২৪ এ প্রদত্ত মূসার আইনটি হল এই: কোনো পুরুষ
কোনো স্ত্রীকে গ্রহণ করে তার সঙ্গে ঘর করার পর যদি এমনটি হয় যে,
সেই স্ত্রীর ব্যবহারে লজ্জাকর কিছু পাওয়ার ফলে
স্ত্রী তার দৃষ্টিতে অনুগ্রহের পাত্র হয় না,
তবে সেই পুরুষ তার জন্য ত্যাগপত্র লিখে তার হাতে দিয়ে
নিজ বাড়ি থেকে তাকে বিদায় দিক।
সেই স্ত্রীলোক তার বাড়ি থেকে যাওয়ার পর
অন্য পুরুষের স্ত্রী হলে,
এই পুরুষ যদি তাকে নিয়ে অসন্তুষ্ট হয়,
এবং তার জন্য ত্যাগপত্র লিখে তার হাতে দিয়ে
নিজ বাড়ি থেকে তাকে বিদায় দেয়, বা
এই নতুন স্বামী যদি মরে যায়, তবে
যে প্রথম স্বামী তাকে বিবাহ করেছিল, সেই স্ত্রী
কলঙ্কিতা হবার পর তাকে আবার স্ত্রীরূপে নিতে পারবে না;
কেননা তেমন কাজ প্রভুর দৃষ্টিতে জঘন্য।
তোমার পরমেশ্বর প্রভু
যে দেশ উত্তরাধিকার-রূপে তোমাকে দিতে
যাচ্ছেন, তুমি তা পাপে কলুষিত করবে না।
সুতরাং বাইবেল কি বলছে?
আপনি আপনার স্ত্রীকে তখনই ত্যাগ করতে পারেন
যদি তার শুদ্ধতা বজায় না থকে। যীশু এই কথাটিই
বলেছেন, তিনি বলেছেন আপনার স্ত্রী
ব্যাভিচারী না হলে আপনি তাকে ত্যাগ করতে পারবেন না।
লক্ষ্য করে দেখুন তিনি পরকীয়া বলেননি, বলেছেন ব্যাভিচারী।
ব্যাভিচারী - কথাটি ব্যবহৃত হয় বিয়ের আগের
কথা প্রসঙ্গে। পরকীয়া - কথাটি ব্যবহৃত হয় বিয়ের পরে,
যদি আপনি বিবাহের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন।
ওল্ড টেস্টামেন্টের দ্বিতীয় বিবরণ ২২ এও এর বিষয়ে
বলা হয়েছে, এতে আছে যে কোনো পুরুষ যদি বিশ্বাস করে
কোনো কুমারী মেয়েকে বিয়ে করে এবং বিয়ের পরে
যদি কুমারীত্বের চিহ্ন না পায়,
তাহলে সেই অবস্থায় সে তাকে
ত্যাগপত্র লিখে ত্যাগ করতে পারে এবং
সেই নারী অন্য ব্যক্তিকে বিয়ে করতে পারে।
যারা বহু বছর ধরে বিবাহসূত্রে আবদ্ধ আছেন তাদের জন্য এই কথাগুলি নয়
এবং তারা একে অপরের জন্য উপযুক্ত নয় অথবা কেউ অবিশ্বাসী।
বাইবেলে বলা হয়েছে যে কেউ যদি ঘৃণার ভিত্তিতে বিবাহ্-বিচ্ছেদ করে।
যীশু ফরিসিদেরকে বলেন,
ঈশ্বর যা সংযুক্ত করেছেন মানুষ তা যেন বিযুক্ত
না করে। যদি ব্যাভিচার ছাড়া আর যেকোনো কারণেই
এমনটি ঘটে তাহলে আপনি তাকে ব্যাভিচারী হতে বাধ্য করছেন,
এবং যদি আপনি তালাক প্রাপ্ত
কোনো মহিলাকে বিয়ে করেন তাহলে আপনি পরকীয়া করছেন,
কারণ সেই সময় তারা তাদের স্ত্রীদের যেকোনো
কারণে ত্যাগ করেছেন। তারা ওনাদেরকে তালাক দিতে চান বলে
তালাক দিচ্ছেন। যীশু বলেন এমনটি
অভিপ্রেত নয়। এটি ছিল যদি কারো স্ত্রী অশুদ্ধ
প্রমাণীত হয়। এর মানে এই নয় যে সে
স্নান করেনি, সম্পূর্ণ বাইবেল জুড়ে শুদ্ধতা পাপ-এর সাথে
সম্পর্কযুক্ত। এখানে কামজ পাপের কথা বলা হচ্ছে;
এটি ব্যাভিচার বা আর যাই হোক না কেন
এটিকে অশুদ্ধতা বলা হয়েছে। তাই এতে বলা হয়েছে
কোনো পুরুষ যদি বিবাহ করে এবং সেই স্ত্রী স্বামীর চোখে কোনো
অনুগ্রহ পাবে না কারণ স্বামী সেই স্ত্রীর মধ্যে অশুদ্ধতা দেখতে পেয়েছে এবং
তারপর সে একটি ত্যাগ পত্র লিখে স্ত্রীকে দেবে এবং
তারপরে সে স্ত্রী অন্য কাউকে বিয়ে করতে পারে।
এর মনে হল সবকিছু শেষ হয়ে যাওয়ার পূর্বে, আবার
ভাল করে ভেবে নিয়ে আমাদের মত পাল্টাতে পারি।
এটিই বাইবেল শিক্ষা দিচ্ছে। এতে স্পষ্ট করে যে শিক্ষা দেওয়া
হয়েছে তা হল, যদি কোনো ব্যক্তি তার স্ত্রীকে ত্যাগ করে,
এবং স্ত্রী যদি অন্য কাউকে বিয়ে করে ফেলে
তাহলে তার আর কখনো বিয়ে করতে পারবেন না।
সুতরাং দেখুন আমাদের আধুনিক সমাজে এটি কিভাবে কাজ করছে?
আজকের দিনে অহরহই আমরা বিবাহ বিচ্ছেদ
দেখতে পাই, তা নয় কি? বাইবেলের মতে
যদি কোনো স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে
তাহলে ওনারা আবার মিলিত হতে পারেন।
যদি দুজনের মধ্যে কেউই আবার বিবাহ না করেন তাহলে
সবচেয়ে ভাল হল তারা আবার মিলিত হতে পারেন।
বাইবেলের কোরিন্থীয় ১ এর ৭ম স্তবকে রয়েছে:
স্ত্রী স্বামী থেকে যেন বিচ্ছিন্ন না হয়;
বিচ্ছেদ ঘটলে সে আবার বিবাহ না করেই যেন থাকে,
কিংবা স্বামীর সঙ্গে যেন পুনর্মিলিতা হয়। তাই প্রকৃতপক্ষে
বাইবেল যা শিক্ষা দিচ্ছে তা হল, যদি কোনো দম্পতি আলাদা হয়ে যায়
তাহলে সবচেয়ে আদর্শ যা হতে পারে তা হল তারা
আবার বিয়ে করতে পারে। আমি এমনটি হতে দেখেছি
যে নারী পুরুষ বিয়ে করেন এবং তারপরে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে
এবং তারপরে ওনারা চার্চে যান এবং সেখানে ঈশ্বরের প্রচারিত বাণী শোনেন
এবং বুঝতে পারেন যে তারা আলাদা
হয়ে কি পাপ করেছেন আর বলেন
"আমাদেরকে ফিরে গিয়ে আবার মিলিত হতে হবে।"
তারপরে ওনারা আবার বিয়ে করেন এবং এটি একটি
পবিত্র জিনিস। কিন্তু বাইবেল এই বিষয়ে একেবারে স্পষ্ট যে
তালাকের পরে স্বামী স্ত্রী উভয়ের মধ্যে কোনো একজন
যদি অন্য কারো সাথে বিবাহ করেন তাহলে সেই স্ত্রী
আর ফিরে এসে পূর্বের স্বামীকে বিয়ে করতে পারবেন না, বাইবেলের মতে
এটি হল অপবিত্রতা। তাই যদি বিবাহ বিচ্ছেদের পরে
দুজনের মধ্যে কেউই পুনরায় বিয়ে না করেন
তাহলে তাদের মধ্যে আবার মিলন ঘটার একটি আশা থেকে যায়।
সেই পরিস্থিতিতে এটিই হচ্ছে ঈশ্বরের যথার্থ ইচ্ছা,
কিন্তু যদি তাদের মধ্যে কেউ আবার বিয়ে করেন
তাহলে আর বিয়ে করতে পারবেন না।
কুরআন আমাদের কি শিক্ষা দেয়? কুরআন-এ উদ্ভটভাবে
বলা আছে যে যদি কোনো দম্পতির মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে
তাহলে তারা আর মিলিত হতে পারবেন না যদি না সেই স্ত্রী
অন্য কাউকে বিয়ে করে এবং আবার তালাকপ্রাপ্ত হয়, এবং তারপরেই
তারা আবার বিয়ে করতে পারবেন। পৃথিবীতে কি চলছে?
আমাকে খুব তাড়াতাড়ি বিয়ে করে নিয়ে এবং
তাকে মন থেকে মুছে দিতে হবে এবং তারপরে আবার সেই বিবাহ
বিচ্ছেদের পরে আমরা আবার এক হতে পারি। এটি একেবারে উল্টো!
তাহলে এটি কি করে মূসার আইনকে প্রতিষ্ঠিত
করতে পারে যখন এটি একেবারে উল্টো কথা বলছে? কিন্তু
মুসলিমরা নিজেদের সুবিধামতো এই কাজগুলি করে:
যখন আপনি কুরআন ও মূসার বাণী অথবা কুরআন ও
যীশুর বাণীতে উপস্থিত শত শত বিরুদ্ধাচরণগুলির
মধ্যে একটির উপরে আঙ্গুল রাখেন,
ওনারা তখন বলেন। "এগুলিকে বিকৃত
করা হয়েছে, এগুলিকে সাজানো হয়েছে।"
মোহম্মদ কুরআনে বলেছেন যে এই বইটি
পূর্বের ধর্মগ্রন্থ, মূসার বাণী, এবং
যীশুর বাণীগুলিকে প্রতিষ্ঠিত করে এবং মূসা এবং যীশুর
বাণীগুলির ধারাবাহিকতাকে বজায় রেখেছে। তিনি
অসাধু উপায়ে যীশু ও মূসার অনুগামীদের নিজের দিকে করতে চান।
যখন মুসলিমরা আপনার সম্মুখে ধর্মপ্রচারের চেষ্টা করে,
তখন তারা সর্বদা যে জিনিসটি করার চেষ্টা করে... "আমরাও যীশুকে
ভালবাসি, আমরাও যীশুতে বিশ্বাস করি!" ওনারা
বলেন, "কুরআনে যীশুখ্রীষ্টের যে উল্লেখ আছে তা আপনাদের জানাচ্ছি,"
কিন্তু আপনি প্রতিবাদ করে বলবেন যে আপনারা উল্টো কথা বলছেন
তখন ওনারা বলবেন তাদের মতে বাইবেলে
সেগুলিকে বিকৃত করা হয়েছে।
আপনি শত শত উপদেশের দিকে আঙ্গুল তুলতে পারেন
আর সবগুলিকেই বিকৃত করা হয়েছে, ওনারা বলবেন ওল্ড টেস্টামেন্টকেও
বিকৃত করা হয়েছে; যীশুর বাণীগুলিকে বিকৃত করা হয়েছে,
কেবলমাত্র কুরআন হল সঠিক।
সুতরাং এটি মূসা ও যীশুকে অনুসরণ করার দাবি করে, কিন্তু
উপদেশগুলিকে খারিজ করে এবং বলেন যে
সবগুলিই বিকৃত, সবগুলিরই পরিবর্তন করা হয়েছে।
এর মানে হল কেউ পূর্বের সময়ে চলে গিয়ে 'দ্বিতীয় বিবরণ' এর
পরিবর্তন করে উল্টো করে দিয়েছেন? সুতরাং মোহম্মদ যা বলেছেন
ওতেও তাই বলা হয়েছিল কি? যে আপনাকে অন্য কারো সথে বিয়ে
করতে হবে এবং তারপর তার কাছ থেকে আবার তালাক নিয়ে
আসল লোকটিকে বিয়ে করতে হবে?
একদম না, কারণ যেকোনো যুক্তি বুদ্ধি সম্পন্ন লোক মূসা যা
বলেছেন তা দেখে নিয়ে বলবেন "এর পেছনে যুক্তি রয়েছে!"
তারপরে ওনারা কুরআন দেখে বলবেন
"এর কোনো মানেই হয় না!" এর মানে কোনোটি
বিকৃত ও কোনটি সঠিক এই বিষয়টি খুবই স্পষ্ট।
সুতরাং এতে সরাসরি একটি অসঙ্গতি রয়েছে।
কেবলমাত্র তাই নয়, এই বইটির একই বিভাগে
তালাক সম্বন্ধেও বলা হয়েছে, এতে বলা হয়েছে যে
'যৌন শোষণ' ন্যায়সঙ্গত। এখনে প্রথমে আমি মোহম্মদ
সম্বন্ধে আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।
তিনি কাদেসিয়া নামের একজন মহিলাকে বিয়ে করেন।
তিনি সেই মহিলার সাথে অনেক বছর দাম্পত্য জীবন কাটান, এবং
সেই মহিলা ওনার থেকে ১৫ বছরের বড় ছিলেন।
তারপরে তিনি তার পরবর্তী মহিলাকে বিয়ে করেন (তিনি দুজন
মহিলাকে বিয়ে করেন), প্রথমে বউ মারা যাবার পর।
তিনি আরো অনেক বিবাহ করেন এবং যে মেয়েটিকে সেই
তথাকথিত ঈশ্বর বিয়ে করতে বললেন তার বয়স ছিল ৬ বছর।
তার নাম ছিল আয়েশা। মনে রাখবেন
তখন মোহম্মদের বয়স ছিল ৫০ বছর! তিনি আসলে
প্রথমবারেই সঠিক ছিলেন! ওনার ওপরে গুহার মধ্যে
অশুভ শক্তিই ভর করেছিল। আপনাকে আপনার
সহজাত প্রবৃত্তির সাথে যাওয়া উচিত। তথাকথিত ঈশ্বরের দূত
তার কাছে এসে বলেছিলেন তোমাকে একটি ৬ বছরের শিশুর
সঙ্গে বিয়ে করতে হবে। তিনি এই কথাটি কাউকে জানাতে
লজ্জাবোধ করলেন। এটি আমাকে একেবারেই আশ্চর্যান্বিত করেনি যে
ওনার কাউকে বলতে লজ্জা হচ্ছিল। তারপরে এই ঘটনাটি ঘটল
তা হল, তিনি ওনার বাড়িতে ছিলেন এবং ওনার বাড়িতে
যে মহিলা কাজ করেন তিনি বললেন
"কাদেসিয়া মারা গেছেন তাই আপনাকে আরকটি বিবাহ করা উচিত।"
তিনি বললেন "আমি কাকে বিয়ে করব?"
মহিলাটি বললেন "হয় আপনি এই মহিলাটিকে
বিয়ে করুন (একজন স্ত্রীর নাম তিনি বললেন) অথবা এই ৬
বছর বয়সী আয়েশাকে বিয়ে করুন।" মোহম্মদ বললেন
"আমি দুজনকেই বিয়ে করছি!"
তিনি তার ৯ বছর বয়সে তাকে বিয়ে করলেন।
এটি নোংরা! এটি ন্যক্কারজনক, বিকৃত, একেই বলে
যৌন শোষণ! সুতরাং আমার একেবারে নিজস্ব মত হল, মোহম্মদ
ছিলেন একজন সম্পূর্ণ যৌন নিপীড়নকারী, তাই সেই সময়
হয়তো যৌন শোষণের মতো কিছু হয়েছিল।
আমি কুরআন খুলে দেখছিলাম এবং সূচীপত্র
দেখতে লাগলাম এবং সেখানে তালাক সম্পর্কিত
একটি অধ্যায় দেখতে পেলাম। যখন সেই অধ্যায়টিতে গেলাম,
তখন দেখতে পেলাম সেখানে বলা আছে তালাকের পূর্বে ভেবে দেখার জন্য
একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা রয়েছে, এটি অনেকটা ক্যালিফর্নিয়ার
৩ মাসের "কুল ডাউন" আইনের মতো।
কুরআন অনুযায়ী এটি মহিলাদের তিনটি ঋতুচক্রের সময়।
তাহলে বাইবেলে যেমন বলা হয়েছে যদি আপনার স্ত্রী বয়সে বড় হন
এবং কোনো মহিলার রজোনিবৃত্তি হয়ে গিয়ে থাকে
তাহলে কি হবে? এটি হল বাইবেলের পরোক্ষ শব্দ।
মোহম্মদ বলেন "কেবলমাত্র তিন মাস অপেক্ষা কর অথবা
এই একই কথা যাদের এখনো ঋতুচক্র শুরু হয়নি
তাদের জন্যেও প্রযোজ্য।" আপনি কেন এমন কাউকে বিয়ে করবেন
যার এখনো ঋতুচক্রই শুরু হয়নি? পৃষ্ঠাটির একেবারে নীচে
একটি পাদটিকা রয়েছে তাতে বলা হয়েছে:
তাদের অল্প বয়সে বিয়ের প্রসঙ্গে বলতে গেলে বলতে হয় যে,
বাল্যবিবাহ খুবই স্বাভাবিক। হ্যাঁ, সেসব কিছু বিকৃত মস্তিষ্কদের জন্য
স্বাভাবিক তো বটেই! এটি আরব দেশের অখ্রীষ্টান ও বিকৃত মানসিকতার
লোকেদের কাছে কতটা স্বাভাবিক এ নিয়ে আমার কোনো মাথা ব্যাথা নেই।
মূল কথা হল মোহম্মদ যা করেছেন তা হল একটি পাপীষ্ঠ ভূমি যেখানে
একদল অখ্রীষ্টান তাদের বিগ্রহ ও মিথ্যা ঈশ্বরের উপাসনা করছিলেন
এবং তিনি নতুন একটি ধর্ম প্রবর্তন করলেন যেখানে
বলা হয়েছে যে ঈশ্বর একজনই, এবং
মোহম্মদ হলেন তাদের নবী কিন্তু তিনি এই সমস্ত অখ্রীষ্টানদের
আস্তাকুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলেন কারণ তার আশেপাশে থাকা
সবাই এটিকে উপেক্ষা করেছিলেন। এমনকি যদি এটি
সত্যও হয়, যা মুসলিমরা দাবি করে।
যদি তারা এটিকে উপেক্ষাও করে থাকে তাহলেও
তারা ছিলেন একদল বিকৃত মানসিকতার লোক! এটি ন্যক্কারজনক,
পাপপূর্ণ, এবং এমন কিছুই বাইবেলে শিক্ষা দেওয়া হয় না।
প্রকৃতপক্ষে বাইবেল তার বিরোধিতা করে।
করিন্থীয় ১ এর অধ্যায় নম্বর ৭ এ যান। বাইবেলে এই সব প্রশ্নের
উত্তর রয়েছে, এবং বাইবেলে যৌন শোষনের নিন্দা করা হয়েছে।
কুরআন-এ বলা হয়েছে, যদি তাদের ঋতুচক্র শুরু না হয়ে থাকে
তাহলে কিভাবে তালাক দেবেন তা এখানে রয়েছে।
এটি অদ্ভুত, আপনি এমন একটি মেয়েকে বিয়ে করছেন
যার এখনো ঋতুচক্রই শুরু হয়নি,
এটি একটি নিকৃষ্ট শিক্ষা। দেখুন বাইবেলের ৭ নং অধ্যায়ের ৩৬ নং স্তবকে
কি বলা হয়েছে দেখুন: "কিন্তু অধিক যৌন প্রবণতার কারণে
কেউ যদি মনে করে, সে নিজ বাগদত্তা বধূর কুমারীত্বের মর্যাদা অক্ষুন্ন
রাখতে পারবে না, যদি তার ঋতুচক্র শুরু হয়ে যায়, তাহলে
যা করার তা করা-ই উচিত, তাহলে সে যা ভাল মনে করে তা-ই করুক;
তার পাপ হবে না-অর্থাৎ তারা বিবাহ করুক।" তাহলে দেখুন
বাইবেলে কিভাবে শর্ত আরোপ করা হয়েছে,
তাদের বিবাহ করার পূর্বে মেয়েটির ঋতুচক্র
অবশ্যই শুরু হতে হবে। এবারে দেখুন বাইবেলের লেবীয়
পুস্তক ১৫ এ পরিস্কার করে বর্ণনা দেওয়া আছে,
এতে বলা হয়েছে “flowers” এর মানে হল মহিলাদের ঋতুচক্র।
লেবীয় পুস্তকের ১৫:২৪ এ বাইবেল অনুযায়ী:
"অশুচিতাকালে যদি কোনো পুরুষ তার সঙ্গে মিলিত হয়, তার অশুচিতা
তাকে কলুষিত করবে, আর সে সাত দিন অশুচি থাকবে;
যে কোন বিছানায় সে শোয় তাও অশুচি হবে।"
৩২ নম্বর স্তবকে এও বলা হয়েছে যে
"এবং ঋতুতে অশুচি স্ত্রীলোক", এর মানে হল
এমন একটা সময় যখন রক্তক্ষরণ হয়।
"Flower" শব্দটির সম্বন্ধে একবার ভেবে দেখুন। আমরা মনে করি
যে তা হল গাছের শাখাপ্রশাখায় কোনো কিছুর গজানো,
কিন্তু প্রাচীন কালের ভাষা অনুযায়ী এর মানে ছিল
কোনো কিছু 'প্রবহমাণ' (F L O W)। এই কথাটাই এখানে
বলা হচ্ছে। এতে বলা হয়েছে বিয়ে করার পূর্বে তার ঋতুচক্র শুরু হওয়া পর্যন্ত
অপেক্ষা করতে হবে এবং এটিই প্রমাণ করবে যে তার বিয়ের বয়স হয়েছে,
সে শারীরিকভাবে পরিণত, নারী হিসাবে গর্ভধারণ
করার জন্য উপযুক্ত।
৬ বছর বয়সী অথবা ৯ বছর বয়সীদের সাথে
বিয়ে করাটা তাহলে কি? এটি হল
বিকৃত মানসিকতা! এটি স্বাভাবিক লোকেদের কাছে
কখনই সাধারণ হতে পারে না; এটি কেবলমাত্রে
পাপাসক্ত দুশ্চরিত্র লোকেদের জন্য। এটি ততটাই বিকৃত
মানসিকতা সম্পন্ন যতটা বাইবেলের তালিকাভুক্ত
অন্য যেকোনো বিকৃত জিনিস যেমন পুরুষদের সমকামিতা, পশুকাম।
এই সবকিছুই নিকৃষ্ট। কেবলমাত্র যারা জঘন্য রিপুর কাছে নিজেদের উৎসর্গ
করেছেন তারাই এর কামনা করতে পারেন। একজন স্বাভাবিক
পুরুষ কোনো মহিলারই কামনা করবে, কোনো শিশুকে নয়।
এটি অপবিত্র, এবং কুরআনে এটিকে মেনে নেওয়া হয়েছে,
মোহম্মদ তার নিজের জীবনেও তাই করেছেন!
আমি কুরআনকে এই বক্তৃতামঞ্চের উপরে রাখলাম, যদি আপনারা
এই সভার পরে তা দেখতে চান তাহলে আমি আপনাদের
সাদর আমন্ত্রণ জানাচ্ছি, দেখুন এই সবকিছুই
এতে আছে। আমি আত্মা জয় করতে বেরিয়েছিলাম ও
শত শত মুসলিমের কাছে গেছি আমি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করব
"আয়েশা সম্বন্ধে আপনাদের কি মত?" এবং প্রতিবারই
ওনারা আমাকে বলবেন, "হ্যাঁ ওনারা বিয়ে করেছিলেন,
ওর বয়স ছিল নয় বছর এবং এটা একদম স্বাভাবিক।"
কোন জগতে? কিন্তু তা ছিল তাদের
একমাত্র উত্তর। যখন আপনি তাদেরকে এই
বিরোধিতাগুলি দেখানোর চেষ্টা করবেন, তখন ওনারা বলবেন "বাইবেলকে
এখানে বিকৃত করা হয়েছে, আমি কুরআন-এর কথা মেনে নিচ্ছি।"
ইসাইয়া-এর ৫৩ নং অধ্যায়ে যান। কুরআনে আরেকটি
সুসমাচারের কথা বলা হয়েছে। কুরআনের অধ্যায়
২ স্তবক ১২২ শুনুন। কুরআনে বিচারের দিন প্রসঙ্গে বলা হয়েছে
"তোমরা সেই দিনকে ভয় কর যেদিন কেহ কাহারো কোনো
কাজে আসিবে না, কাহারো সুপারিশ গ্রহণ করা হইবে না,
কাহারো নিকট হইতে বিনিময় গৃহীত হইবে না
এবং তাহারা কোনো প্রকার সাহায্যপ্রাপ্তও
হইবে না।" সুতরাং কুরআনের মতে
বিচারের দিনে কেউ পাশে দাঁড়াবে না, কোনো বিকল্প থাকবে না,
কোনো সুপারিশ চলবে না, এবং কোনো মুক্তিপন থাকবে না।
এবারে বাইবেলের দিকে লক্ষ্য করুন, দেখুন ইসাইয়া ৫৩ এর
১২ নং স্তবকে বাইবেল কি বলছে (এতে যীশুর সম্বন্ধে বলা হয়েছে):
"তাই আমি তাঁর জন্য বহু মানুষের সঙ্গে একটা অংশ স্থির করব,
ক্ষমতাশীলদের সঙ্গে তিনি লুটের মাল ভাগ করে নেবেন;
কেননা তিনি মৃত্যু পর্যন্তই নিজের প্রাণ উজাড় করে
দিলেন, এবং বিদ্রোহীদের একজন বলে গণ্য হলেন;
অথচ তিনি বহু মানুষের পাপ বহন করেছিলেন
এবং বিদ্রোহীদের হয়ে প্রার্থনা করেছিলেন।"
যীশুখ্রীষ্ট পাপীদের জন্য প্রার্থনা করেছিলেন!
৫ম স্তবকে বলা হয়েছে "তিনি বরং আমাদেরই অন্যায়-অপকর্মের জন্য
অপমানের পাত্র হয়েছেন; আমাদের শঠতার জন্যই
চূর্ণবিচূর্ণ হয়েছেন; আমাদের শাস্তির পণ সেই শাস্তি তাঁর
উপরে নেমে পড়ল। তারই ক্ষতগুণে আমরা নিরাময়
হলাম। আমরা সকলে মেষপালকের মতো পথভ্রষ্ট ছিলাম,
প্রত্যেকে নিজ নিজ পথ ধরে চলতামে; প্রভু
আমাদের সকলের অপরাধ তাঁরই উপরে চেপে
দিলেন।" যীশু হলেন আমাদের বিকল্প! ঈশ্বর প্রভু যীশুর
কথা রেখেছেন, ওল্ড ও নিউ টেস্টামেন্ট-এর মতে,
আমাদের সবার অপরাধ, আমাদের সকলের অধর্মের ফলে
ওনাকে আঘাত করা হয়েছিল, এবং তিনি আমাদের পাপের জন্য মারা গিয়েছিলেন,
এবং বাইবেলে এটি পরিস্কার করে বলা আছে যে উনি আমাদের হয়ে
মধ্যস্থতা করেছিলেন। নিউ টেস্টামেন্টের এই গ্রন্থগুলি দেখুন।
বাইবেলের মথি ২০ স্তবক ২৮ এ বলা হয়েছে:
"ঠিক যেমনটি মানবপুত্র সেবা পেতে আসেননি,
কিন্তু এসেছেন সেবা করতে, ও অনেকের
মুক্তিমূল্য রূপে নিজের প্রান দিতে।"
তিমথি ১ এর অধ্যায় ২ এর ৬ষ্ঠ স্তবক দেখুন "যিনি
সকলের মুক্তিপণ হিসাবে নিজেকে দান করলেন। এই সাক্ষ্য
তিনি নির্ধারিত সময়েই দান করলেন।" যীশু হলেন আমাদের
সবার মুক্তিপণ, তিনি হলেন আমাদের বিকল্প, তিনি হলেন আমাদের
মধ্যস্থতাকারী। আমাদের মুক্তি পাওয়ার একমাত্র পথই হলেন
প্রভু যীশু। যদি আমাদেরকে আমাদের কাজের নিরিখে বিচার করা হত
তাহলে আমরা সবাই দোষী সাব্যস্ত হতাম! আমরা
সবাই পাপ করেছি, তাই আমরা সবাই পরমেশ্বরের মহিমা
থেকে বঞ্চিত! বাইবেলে বলা হয়েছে: তাঁরই অনুগ্রহে বিনামূল্যে
সকলকে ধর্মময় বলে সাব্যস্ত করা হয়েছে যীশুখ্রীষ্টের সাধিত
মুক্তকর্ম দ্বারা, মুসলিমদের কাছে এই মুক্তির উপায় নেই।
তাদের কাছে কোনো মধ্যস্থতাকারী নেই;
বিচারের দিনে তাদের পাশে দাঁড়ানোর মতো কেউ নেই।
তাদের কাছে তাদের আত্মার জন্য কোনো মুক্তিপণও
থাকে না। আমাদের কাছে ত্রাণকর্তা হিসাবে যীশু আছেন, তিনি আমাদের
পাপের কারণে মৃত্যুবরণ করেন। ওনারা ওনাদের পাপের জন্য মরবেন
এবং নিজেদের পাপের নিরিখে বিচার করা হবে। দেখুন, কুরআন-এর
মতে ওনারা যদি কুরআন মেনে চলেন ও
তা অনুসরণ করে সৎকাজ করেন তাহলে মুক্তি পাবেন,
কিন্তু এখানেই প্রত্যেক মুসলমান লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেন না।
প্রত্যেক খ্রীষ্টান যেমন গুরুতর পাপ করেছেন তেমনি প্রত্যেক
মুসলমানও গুরুতর পাপী। আমরা সবাই কিছু না কিছু পাপ করেছি,
আমরা কেউ ধার্মিক নই, একজনও না।
হোসিয়া ১৩:১৪ এ দেখুন “আমি পাতালের
কবর থেকে রক্ষা তাদের; হে মৃত্যু, তোমার রোগগুলি কোথায়?:
আমি মৃত্যুর হাত থেকে মুক্তি দেবহাত থেকে তাদের উদ্ধার করব;
মৃত্যু থেকে কি তাদের আবার মুক্ত করব: হে মৃত্যু, কোথায় তোমার
মহামারী; হে পাতাল, কোথায় তোমার হত্যাকান্ড: দয়া আমার চোখ থেকে
লুকায়িত হবে” এটি হল একটি ধর্মগ্রন্থ যা কুরিন্থীয় ১ এর ১৫ এ
উদ্ধৃত করা হয়েছে, এটি যীশুর সুসমাচারের সম্বন্ধে, এই সত্যটির বিষয়ে
যে যীশু আমাদেরকে পাতাল-শক্তির হাত মুক্তিপণের
বিনিময়ে উদ্ধার করেছেন। হিব্রু ৭:২২ এ যান "এজন্য খ্রীষ্ট শ্রেয়তর
এক সন্ধির নিশ্চয়তা স্বরূপ হলেন।
তাছাড়া তারা সংখ্যায় অনেক যাজক হচ্ছিল,
কারণ মৃত্যু তাদের বেশিদিন থাকতে দিচ্ছিল
না। কিন্তু তিনি 'চিরকালের মত' থাকেন বিধায়
তাঁর যাজকত্ব হরণযোগ্য নয়।" এটিকে বদলানোর জন্য
আমাদের তোমাকে প্রয়োজন নেই মোহম্মদ!
যীশুর যাজকত্ব হরণযোগ্য নয়। এটি
সম্পূর্ণ হয়ে গেছে, এটি সমাপ্ত হয়ে গেছে। যীশু বলেছেন
"দেখ আমি শীঘ্রই আসছি।" তিনি এমন
বলেননি যে ৬০০ বছর পরে আরেক জনকে পাঠাবেন
আর সে এসে সবকিছু বদলে দেবে। না, বাইবেলে বলা হয়েছে
"দেখ আমি শীঘ্রই আসছি; দেওয়ার মজুরি আমার
কাছে থাকবে, আমি প্রত্যেককে যে যার কর্ম অনুযায়ী
প্রতিফল দেব।" যীশু আসছেন। আমরা তাঁর জন্যই
অপেক্ষা করছি। আমরা এমন কোনো ব্যক্তির জন্য অপেক্ষা করিনি
যিনি আরব দেশে ৬০০ বছর পরে এসে বলবেন
এই সবকিছুকেই বিকৃত করা হয়েছে কারণ
গ্যাব্রিয়েল ওনাকে গুহার মধ্যে সেসব বলেছেন।
এটা অভিশপ্ত হোক্.এটি মিথ্যা, এটি শয়তানোচিত।
মুসলিমরা নিরন্তর মোহম্মদকে শুভকামনা দিতে থাকে।
ওনারা কখনোই ওনার নাম এই কথাটি না বলে নেয় না:
Peace be Upon Him (তার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)। PISS BE
UPON HIM (তার উপরে প্রস্রাব কর)!
বাইবেলে মোহম্মদের সম্বন্ধে বলা হয়েছে
"সে বিনাশ-মানতের বস্তু হোক!" ঈশ্বরের উপরে মোহম্মদের
কোনো কৃপা নেই। বাইবেলের মতে "আমরা তোমাদের কাছে যে
সুসমাচার প্রচার করছি যদি কোনো লোক সেটি ছাড়া
অন্য কোনো সুসমাচারের
প্রচার করে, তাহলে সে
বিনাশ-মানতের বস্তু হোক।" পছন্দ করুন আর নাই করুন।
আমার উদ্দেশ্য মুসলিমদের রাগান্বিত বা অসন্তুষ্ট করা নয়।
আমার উদ্দেশ্য হচ্ছে মুসলিমদেরকে যদি বাঁচানো যায়। আমি
যীশুখ্রীষ্টের সুসমাচারের হাত ধরে মুসলিমদের কাছে
পৌঁছাতে চাই। কিন্তু আমি এখানে বসে বসে কোনো মিথ্যা ধর্মপ্রচারকের
প্রতি শ্রদ্ধাবান হতে পারব না। যদি মুসলিমদের মন জয় করার
এটাই একমাত্র রাস্তা হয় তাহলে আমি কোনো মুসলিমকে
ঈশ্বরের কাছে নিয়ে যেতে চাই না। বাইবেল আমাকে আদেশ
দিয়েছে তাকে বিনাশ-মানতের বস্তু করা হোক। আমি সমস্ত ধর্মকে
সম্মান করি না, কারণ যখন কাবিল ঈশ্বরের কাছে তার
মান্নত পেশ করল এবং সেটি মেষের রক্ত না হয়ে
অন্য কিছু ছিল (ফল ও সব্জি) যার
মান্নত ঈশ্বর গ্রহণ করলেন না।
ঈশ্বর কাবিলের ধর্মের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেননি।
এটা এইসব মিথ্যা নবীদের দুর্ভাগ্য কারণ ওনারা
কাবিলের প্রদর্শিত পথ বেছে নিয়েছিলেন! যখন ঈশ্বরই কাবিলের
প্রতি সম্মান প্রদর্শন করলেন না, তাহলে যারা কাবিলের পথে হেঁটেছেন তাদের
প্রতি সম্মান প্রদর্শন করব? কাবিলই সেই যে কর্মের মধ্য দিয়ে
মোক্ষ প্রাপ্তির কথা বলেছেন, হাবিল মেষের রক্ত নিয়ে
এসেছিলেন। কেন কাবিল হাবিলকে হত্যা
করেছিলেন? কারণ বাইবেলের মতে
ওনার নিজের কাজগুলি ছিল অশুভ এবং
তার ভাইয়ের কাজগুলি ন্যায়নিষ্ঠ।
কুরআনেও এমন বলা আছে।
বাইবেলের হিব্রু ৭ স্তবক ২৫ এ রয়েছে "এজন্য
যারা তাঁরই মধ্য দিয়ে ঈশ্বরের কাছে এগিয়ে যায়,
তিনি সম্পূর্ণরূপেই তাদের ত্রাণ করতে সক্ষম; কেনানা তাদের
হয়ে আবেদন জানানোর জন্য তিনি নিত্যই জীবিত আছেন।"
এটাই হচ্ছে আমাদের মোক্ষ প্রাপ্তির রাস্তা, যার জন্য যীশুখ্রীষ্ট
আমাদের মধ্যস্থতাকারী হিসাবে চিরকাল জীবিত থাকবেন। কুরআন-এ
বলা হয়েছে যে আমাদের পাশে দাঁড়াবার মতো কেউ নেই;
এটি কেবল আমাদের কর্মের উপরে নির্ভরশীল। আপনার
মৃত্যু অনিবার্য! এমনকি যদি আপনি এতে বিশ্বাস করেন তাহলেও
অনিবার্য। আমার মনে আছে একজন মুসলিমের সঙ্গে কথা বলেছিলাম
এবং তিনি বলেছিলেন "আমি তো স্বর্গে যাচ্ছি, কারণ তিনি
ভাল কাজ করছেন এবং তিনি স্তম্ভগুলি অনুসরণ করেন, এবং
তিনি কুরআন মেনে চলেন।" তখন আমি ওনার সাথে তর্ক
করতে শুরু করলাম (এমন মোটেও ভাববেন না যে আমি
সাবাইকেই তাদের পাপের জন্য তর্ক দিতে থাকি আর বলতে
থাকি এটি সঠিক নয়) যেহেতু উনি ওখানে বসে ছিলেন আর
আমাকে বলছিলেন যে উনি সৎকাজ করেন আর
তিনি স্বর্গে যাবেন। আমি বললাম "ঠিক আছে, আপনার পেছনে রাখা টিভি
সম্পর্কে আপনার ধারণা কি? ওতে যে জেরি স্প্রিঙ্গার-এর শো
চলছে এ বিষয়ে আপনার মতামত কি? ঈশ্বর কি চান যে আপনি এই
অনুষ্ঠানগুলি দেখুন? এটি কি টিভি শোগুলি ধর্মমূলক?
এটি কি ঈশ্বরের বিষয়ে?" তিনি বললেন “ওহ, আচ্ছা,
আমার মনে হয়না।” আমি বললাম “আপনি কেন
এই ছোট প্যান্ট কেন পরে আছেন? কুরআন কি আপনাকে
এই শিক্ষাই দিয়েছে? মোহম্মদ কি চান আপনি এইসব জামাকাপড়ই
পরিধান করুন? তিনি একটু লজ্জা পেলেন ও বললেন “ওহ হ্যাঁ,
আপনি তো জানেন…” আমি বললাম “আপনার মাথার কাপড় কোথায়?”
তিনি বললেন “ওহো…” আমি বললাম
“এটা কি হচ্ছে? কুরআন অনুযায়ী আপনি নরকে
গমন করছেন! আপনি বাইবেলের মতেও নরকে গমন
করছেন কারণ যীশু যে ঈশ্বরের পুত্র তা আপনি বিশ্বাস করেন না।
প্রভু যীশুতে বিশ্বাস করুন এবং তিনিই আপনাকে
রক্ষা করতে পারেন।" আমি ওনাকে সুসমাচার
দেওয়ার চেষ্টা করছিলাম যে সে
যাই হোক না কেন ঈশ্বর উনাকে রক্ষা করবেন। যেমন ভজন
গায়কেরা বলেন "ঠিক যেমন আমি কোনো কৈফিয়ত
ছাড়া, কিন্তু তোমার এই রক্ত আমার উপরে পড়েছিল, এবং আর ইনি
বলেছিলেন তোমার কাছে আসার জন্য, হে ঈশ্বর আমি মেষ হয়ে
এসেছি, আমি এসেছি।” এই হল খ্রীষ্টধর্ম অনুযায়ী
মোক্ষপ্রাপ্তির রাস্তা। ইসলাম আপনাকে
দিনে ৫ বার সিজদা করতে বলেন, একবার মক্কা যেতে বলেন,
অনেক ধরণের নিয়ম পালন করতে বলন, এবং আপনি কি জানেন?
তারপর আপনি খুব ভাল কিছু হবার আশায় বসে থাকেন
কেননা পরমেশ্বর করুণাময় এবং সহানুভূতিশীল।
আর আপনি এই আশায় বসে থাকেন যে আপনার মোক্ষ
প্রাপ্তি নিশ্চিন্ত কারণ প্রভু আপনার সমস্ত
দুষ্কর্ম ও পাপকে উপেক্ষা করবেন।
পিতরের প্রথম পত্র, অধ্যায় ২ এ যান। মনে রাখবেন আমরা
এখনো পর্যন্ত কুরআনের একটি অধ্যায় নিয়েই আলোচনা
করেছি। কুরআন-এ ১১৪টি অধ্যায় রয়েছে। আমরা এই
মুহূর্তে কেবল একটিকেই দেখছি। আমরা এখনো 'গরু'
অধ্যায়েই আটকে আছি, এটি অধ্যায়টি ধর্মের
বিরুদ্ধাচরণে পরিপূর্ণ। এতে যা দাবি করা হয়েছে
তেমনিভাবে পুরোনো ধর্মগ্রন্থগুলিকে এটি একেবারেই
প্রতিষ্ঠিত করেনা। শুনুন কুরআনের গরু অধ্যায়ের ৯১
আয়াতে কি বলা হয়েছে। এতে আছে "যেখানে তাহাদেরকে পাইবে
হত্যা করিবে! যে স্থান হইতে তাহারা তোমাদেরকে
বহিষ্কার করিয়াছে তোমরাও সেই স্থান হইতে তাহাদেরকে বহিষ্কার
করিবে। ফিতনা হত্যার থেকেও গুরুতর। মসজিদুল হারামের নিকট
তোমরা তাহাদের সঙ্গে যুদ্ধ করিবে না,
যে পর্যন্ত তাহারা সেখানে তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ না করে।
যদি তাহারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তবে তোমরা তাহাদেরকে হত্যা
করিবে, ইহাই কাফিরদের পরিণাম। যদি তাহারা বিরত হয় তবে আল্লাহ ক্ষমাশীল,
পরম দয়ালু। আর তোমরা তাহাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিতে থাকিবে
যাবত ফিতনা দূরীভূত না হয় এবং আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠিত না হয়।
যদি তাহার বিরত হয় তাহলে জালিমদের ব্যাতীত আর কাহাকেও আক্রমণ করা
চলিবে না। পবিত্র মাস পবিত্র মাসের বিনিময়ে। যাহার পবিত্রতা অলঙ্ঘনীয়
তাহার অবমাননা সকলের জন্য সমান। যদি কেউ আপনাকে
আক্রমণ করে তাহলে তার মতো করে আপনিও আক্রমণ
করুন!" তিনি বার বারই একই কথা বলেছেন। যদি কেউ
আপনাকে আক্রমণ করে, তাদেরকে হত্যা কর। আপনাকে আক্রমণকারীদের
আক্রমণ কর। কয়েকটি আয়াতের পরে ২১৬ নম্বর
আয়াতে তিনি বলেছেন "যুদ্ধ করা আপনার জন্য
বাধ্যতামূলক!" তিনি আধ্যাত্মিক যুদ্ধের কথা বলছেন না।
তিনি আক্ষরিক অর্থে তলোয়ার নিয়ে যুদ্ধের কথা বলছেন।
যাও কাফেরদের হত্যা কর। তিনি বলেছেন "তোমাদের
জন্য যুদ্ধের বিধান দেওয়া হইল যদিও তোমাদের নিকট ইহা
অপ্রিয়, কিন্তু তোমরা যা অপছন্দ কর সম্ভবত তাহা তোমাদের
জন্য কল্যাণকর এবং যাহা ভালবাস তাহা তোমাদের জন্য
অকল্যাণকর। আল্লাহ জানেন কিন্তু তোমরা জান না" ঈশ্বরই
জানেন আর তোমরা কিছুই জান না, আমি বলছি তাই চুপ কর
এবং যতক্ষণ না পর্যন্ত আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠিত না হয় ততক্ষণ
পর্যন্ত বিধর্মীদেরকে হত্যা কর। যীশু কি এমন কিছু
শিক্ষা দিয়েছে? যীশু কি বলেছেন যে, "যারা তোমাদের
আক্রমণ করেছে তাদের তোমরা আক্রমণ কর?" যীশু কি বলেছেন
"যদি তারা তোমাদেরকে আক্রমণ করে তাহলে তাদের হত্যা কর!" না,
তিনি তা করেননি। পিতরের ১ম পত্র, ২য় অধ্যায়, ১৯ নং স্তবকে
বাইবেল কি বলছে শুনুন: "কেননা অন্যায়-শাস্তি ভোগ ক'রে
যন্ত্রণা সহ্য করা, তা ঈশ্বরের প্রতি সদ্বিবেকের খাতিরে এক অনুগ্রহ;
বস্তুত তোমাদের নিজেদের অপরাধের ফলেই শাস্তি
সহ্য করায় গৌরব কী? কিন্তু সদাচরণ ক'রে
সহিষ্ণুতার সঙ্গে যন্ত্রণা সহ্য করা,
তা ঈশ্বরের দৃষ্টিতে অনুগ্রহ।
আর আসলে তোমরা এই উদ্দেশ্যেই আহূত হয়েছ,
কারণ খ্রীষ্টও তোমাদের জন্য যন্ত্রণা ভোগ ক'রে তোমাদের
জন্য একটি আদর্শ রেখে গেছেন, তোমরা যেন তাঁর
পদাঙ্ক অনুসরণ কর। তিনি কোনো পাপ করেননি;
তাঁর মুখেও কখনো পাওয়া যায়নি ছলনার কথা।
অপমানিত হলে তিনি প্রত্যুত্তরে অপমান করতেন না;
যন্ত্রণার সময়ে হুমকি দিতেন না, বরং ন্যায় অনুসারে বিচার
করেন যিনি, তারই হাতে তিনি নিজেকে
সঁপে দিলেন।" বাইবেলে কি বলা হয়েছে? "কিন্তু আমি
তোমাদের বলছি, দুর্জনকে প্রতিরোধ করো না;
বরং যে কেউ তোমার ডান গালে চড় মারে,
অন্য গালও তার দিকে ফিরিয়ে দাও।"
"তাকে এখুনি হত্য কর!" মোহম্মদ বলবেন। "যদি কেউ তোমার গালে চড় মারে,
তাহলে তুমি তাকে তখনই হত্যা কর!" তিনি হয়তো বলবেন "মসজিদের পরিসরে এমনটি
করো না, কিন্তু যদি কেউ তোমাকে মসজিদ পরিসরে
আঘাত করে তাহলে মসজিদেই তা কর। মসজিদেই তাকে হত্যা কর!
যেখানেই তাকে খুঁজে পাবে সেখানেই তাকে মেরে ফেল! যতক্ষণ না
পর্যন্ত আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠিত না হয় ততক্ষণ হত্যা কর"
মনে রাখবেন, ঈশ্বরের দীন প্রতিষ্ঠিত করা হতে পারে না কারণ
যে রাস্তা মোক্ষ প্রাপ্তির দিকে অগ্রসর হয় তা খুবই সংকীর্ণ হয়্
আর অনেক কম লোকই তা খুঁজে পান। প্রশস্ত সেই পথ
যা বিনাশের দিকে এগিয়ে যায় আর বেশিরভাগ
লোকই সেদিকে অগ্রসর হন। সমস্ত পৃথিবীকেই বাঁচানোর
মতো এমন কিছু হতে পারে না।
অধিকাংশ লোককেই বাঁচানো যাবে না। সংকীর্ণ রাস্তা ধরে
সর্বোচ্চস্থানে অধিষ্ঠান করা ঈশ্বরের রাস্তা হতে
পারে না। কিন্তু ওনারা বলছেন, ঈশ্বরের দীন
সর্বোচ্চ স্থানে প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত মূর্তিপূজকদের
হত্যা কর।" বাইবেলে এমন শিক্ষা দেওয়া হয়নি। এমন
প্রচুর লোক আছেন যারা বলবেন "আপনারা
হয়তো জানেন, ওল্ড টেস্টামেন্টে এমন কিছু রয়েছে,
ওল্ড টেস্টামেন্টে রয়েছে কেবল
'সবাইকে হত্যা কর'।" না, এরকম
একেবারেই ছিল না। সম্পূর্ণ জাতিকে হত্যা করে আর তাদেরকে
জোর করে ধর্মান্তরিত করে বাইবেলে বর্ণিত প্রভুর
আরাধনা করতে হবে, বাইবেলে এমন কোথায়
লেখা আছে? আপনি একমাত্র যে জিনিসের কথা এ বিষয়ে বলতে
পারেন তা হল ঈশ্বর মিশর ছেড়ে বেরিয়ে আসা ইসরাইলের সন্তানদের
নির্দিষ্ট করে বলেছিলেন যে তারা যেন কানান দেশে চলে যান
এবং ঈশ্বরের দ্বারা অভিশপ্ত কিছু কানানীয়দের বিশেষ জাতি যারা
কাল্পনিক সমস্ত অপবিত্র কার্যগুলি সমাধা করেছিলেন
সেগুলিকে ধ্বংস করেন, আর প্রভু এটাও বলেছিলেন
যে যেহেতু ওনারা এইসব কাজ করেছেন
তাই ওনাদের ধ্বংস করে দেওয়া একান্ত
প্রয়োজন। তিনি বলেছিলেন যে এমনকি তাঁর সন্তানেরা এইসব
লোকেদের সাথে একত্রে বাস করতে পারবে না কারণ এইসব লোকেরা
খুব বেশি পরিমাণে অশ্লীলতা ও অপবিত্র কাজগুলি করেন। লেবীয় পুস্তক ১৮ ও ২০ তে ওনার কি ধরণের বিকৃত মানসিকতার শিকার তার সূচী দেওয়া হয়েছে
এবং এটি মারাত্মক। এটিই হচ্ছে সেই কারণ যার জন্য
ওনারা ওখানে গিয়েছিলেন আর ওনাদের ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল।
ঈশ্বর এমন কখনই বলেননি যে "পুরো বিশ্বকে বদলানোর
জন্য যুদ্ধ ও তলোয়ারের প্রয়োজন।" উনি এটাও বলেননি যে এইসব
লোকেদের পরিবর্তন করার জন্য বল প্রয়োগ করা হোক।
উনি কেবল এটাই বলেছিলেন যে এইসব লোক এতটাই বিপথে
চলে গিয়েছিলেন আর বিকৃতির শিকার হয়ে গিয়েছিলেন যে এখন এদের
রাস্তা থেকে সরানোর প্রয়োজন। এই কথাগুলি একটি বিশেষ জাতির জন্য
বলা হয়েছিল। একবার যখন ইসরাইলের সন্তানরা এসে সেই
প্রদেশটিকে দখল করে নিলেন, তারপরে কোথায় এমন রয়েছে
যে ওনারা একের পর এক প্রদেশ জয় করে সাম্রাজ্য গড়ে তুলতে
চেয়েছিলেন? আপনি এমন কোথায় দেখেছেন যে ইসরাইল সাম্রাজ্য
ইউরোপ, আফ্রিকা, বা ভারতে গিয়ে সেখানকার দখল নেবার চেষ্টা
করেছেন এবং বলেছেন ধর্মান্তরিত হও ও আল্লাহর প্রতি আনুগত্য
প্রদর্শন কর নতুবা আমরা তোমাদেরকে হত্যা করব?
ওল্ড টেস্টামেন্ট বা নিউ টেস্টামেন্টে এমন কিছুই নেই।
এটি মিথ্যা। যদি এমন কিছু ওল্ড টেস্টামেন্টে থাকতো
(যা একেবারেই নয়), আমরা তো এখন নিউ টেস্টামেন্টে আছি!
নিউ টেস্টামেন্টে এমন কোথাও লেখা নেই
যেখানে যীশু বলেছেন যে আমাদের
সামনা সামনি যুদ্ধের প্রয়োজন আছে। সামনা সামনি যুদ্ধের প্রয়োজন আছে।
আপনারা আমাকে দেখান যে নিউ টেস্টামেন্টে এমন কোথায় লেখা
আছে যে আমাদেরকে ঈশ্বরের শত্রুদের সাথে সামনা সামনি
যুদ্ধ করতে হবে। কখনই না! এমন কখনই শিক্ষা দেওয়া হয়নি।
নিউ টেস্টামেন্টে কেবল এটাই বলা হয়েছে
যে অনিষ্টকারীদের সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথ
শাস্তি পাওয়া উচিৎ। এমন কখনোই বলা হয়নি যে আমাদেরকে
জিহাদের পথে যেতে হবে, আমাদেরকে লোকেদের ধর্ম
পরিবর্তন করার জন্য ধার্মিক যুদ্ধ শুরু করার প্রয়োজনীয়তা
রয়েছে এবং যতক্ষণ যতটা বেশি সম্ভব জায়গার দখল নেওয়া
হচ্ছে এবং তাদেরকে সত্যিকারের ধর্মপালনে বাধ্য করা হচ্ছে ততক্ষণ
তাদের উপর বল প্রয়োগ করতে হবে। বাইবেল এমন শিক্ষা দেয় না
যে যদি কেউ আপনাকে আক্রমণ করে তাহলে আপনিও তাদেরকে
আক্রমণ করুন। বাইবেলে বলা হয়নি যে "মূর্তিপূজকদের হত্যা করুন।"
এতে বলা হয়েছে "অন্যয়ের প্রতিদানে কারও অন্যায় করো না।
সকল মানুষের চোখে যা উত্তম, তোমরা তাই করতে সচেষ্ট থাক।"
প্রিয়োজনেরা কখনো প্রতিশোধ নিও না,
বরং সেবিষয়ে [ঐশ] ক্রোধকেই স্থান দাও। কারণ লেখা আছে
"প্রতিশোধ আমারই হাতে, আমিই প্রতিফল দেব" একথা বলেছেন প্রভু।
তাই যদি আপনার শত্রু ক্ষুধার্ত হয় তাহলে
তার হত্যা করা হবে! না এতে এমন কিছু বলা হয়নি, এতে বলা হয়েছে
"বরং তোমার শত্রুর যদি ক্ষুধা পায়, তাকে কিছু খেতে দাও,
যদি তার পিপাসা পায় তাকে জল দাও। কারণ তাই করলে
তুমি তার মাথায় জ্বলন্ত অঙ্গার রাশি করে রাখবে।
অন্যায়ের কাছে পরাজয় মেনো না, কিন্তু সদাচরণ দ্বারা
অন্যায়কে জয় কর।" বাইবেলে তাই বলা আছে।
এটি কুরআনে প্রদত্ত শিক্ষার একেবারে
বিপরীত। এতে বলা হয়েছে
"সম্ভব হলে, যতটা পার, সকলের সঙ্গে
শান্তিতে থাক।"
আসুন মোহম্মদের ইতিহাসকে আবার একটু দেখা যাক...
এমন হয়েছিল যে মোহম্মদ গুহাতে গিয়েছিলেন আর
উনি স্বপ্ন দেখতে শুরু করলেন, আর উনার ৪০
বছর বয়সের শুরুতে, তিনি তার কিছু অনুগামীদের
সামনে কুরআন বলতে আরম্ভ করলেন, আর উনার অনুগামীদের
সংখ্যা বাড়তে থাকে ও তিনি কুরানের সূরা ও আয়াত
আবৃত্তি করতে থাকেন। লোকেরা ওনার উপরে ভরসা করতে থাকেন
আর উনার শিক্ষাগুলির অনুসরণ করতে থাকেন এবং উনার
নিজের গৃহনগরেই উনাকে নির্যাতিত করা হল।
মক্কা ছিল ওনার গৃহনগর। অতঃপর মক্কার মুসলমানদের
উপরেও নির্যাতন করা হতে লাগল এবং তাদেরকে মক্কা ছেড়ে
যেতে হল। ওনারা মক্কা ছেড়ে মদিনাতে গিয়ে বাস করতে লাগলেন।
মদিনা হল সেই জায়গা যেখানে মোহম্মদের সকল অনুগামী
একত্রিত হতে লাগলেন। মদিনা একটি মুসলিম নগরী রূপে
প্রতিষ্ঠিত হল। তারপর মদিনার মুসলমানেরা সিদ্ধান্ত
নিলেন যে ওনারা মক্কার কাফেলাতে হামলা করার প্রক্রিয়া
(মোহম্মদের কাছে “ঈশ্বরের দৈববাণী” অনুযায়ী) শুরু
করবেন। কাফেলাতে হামলা করার অর্থ কি?
এর অর্থ হল সেই সময় লোকেরা কাজ করে ও
কেনাবেচা করে অর্থ উপার্জন করত এবং সেই ব্যবসার জন্য
কাফেলা বের হত। যার মাধ্যমে ওনারা পণ্যদ্রব্য দূর দূরান্তরে
আনা নেওয়া করতেন। মুসলিমরা লুকিয়ে হঠাৎ করে তাদেরকে
আক্রমণ করে তাদের পণ্য চুরি করার পরিকল্পনা করল।
বাইবেলে কি চুরি করা শেখানো হয়েছে? যতক্ষণ পর্যন্ত ওনাদের মুক্তির
রাস্তা করতে পারা যাচ্ছে? ততক্ষণ কি তাদের থেকে চুরি
করা উচিৎ? বাইবেলে এমন কথা বলা হয়নি, এতে বলা হয়েছে
"চুরি করবে না।" কিন্তু মোহম্মদ বলেছেন,
"আল্লাহ চান এই কাফিলাগুলিতে আমরা লুঠতরাজ করি
আর মক্কার লোকেদের কাছ থেকে সামগ্রী চুরি করি।"
আমরা জানি যে, ওনারা কাফেরদের গোষ্ঠী, এইজন্য
আমরা ওদের কাছ থেকে কেড়ে নেব ওদের সাথে লড়াই করব, এবং তাদেরকে
হত্য করব আর যা করা সম্ভব তাই করব। ধর্মগ্রন্থ বাইবেলে এমন কিছুই
লেখা নেই এবং ওল্ড ও নিউ টেস্টামেন্টে এমন কিছু
দেওয়া নেই, খ্রীষ্টধর্মে এমন কিছু নেই। এটি হল কেবল
এমন একজন নবী যা শুধুমাত্র অপদেবতার সিদ্ধান্তের শিক্ষা
(এটি হল সবচেয়ে সঠিক ব্যাখ্যা) দিয়ে আসছেন
অথবা নিজেরই অসৎ কল্পনাগুলিকে শোনানো
হচ্ছে। যদি আপনি এ বিষয়ে ভাবেন তাহলে দেখবেন,
যে দেবদূত ওনাকে বলেছিলেন "৬ বছর বয়সী শিশুকে বিয়ে
কর," সেই একই দেবদূত ওনাকে বলেছেন যে কাফেলাতে হামলা কর,
চুরি কর, মারো, লড়াই কর ইত্যাদি।" এটি হচ্ছে
অসদাচার, এবং ওনার সাথে যে অপদেবতা কথা বলেন
তিনিই তাকে এমনটি করতে উৎসাহিত করেছেন। অতঃপর,
উনি কাফিলাতে হামলা করা শুরু করে দিলেন এবং এর ফলস্বরূপ
মক্কা ও মদিনার মধ্যে একটি বড় যুদ্ধ শুরু হল।
যার ফলস্বরূপ তিনি পুনরায় মক্কাতে উনার আধিপত্য
বিস্তার করলেন। পাশাপাশিভাবে তখন সেই খেলা ঘনকও ওনাদের নিয়ন্ত্রণে
চলে এল যার সম্বন্ধে আমি একটু পরে কথা বলব।
ওনারা একটি কাবা বলে সম্বোধন করেন।
কাবা হল একটি সুবিশাল ঘনক। ওনারা
দাবি করেন যে এতি আল্লাহর আবাস, এবং এটি একটি
পবিত্র স্থান। ওনাদের মতে এটিকে মূলত
আব্রাহাম ও ইসমাইল তৈরি করেছিলেন। এখন দেখুন
কাবার বিষয়ে মজাদার তথ্য হল এই যে,
মোহম্মদের আসার পূর্বেই এটি ওখানে ছিল। ঘটনাটি
এমন ছিল যে বহু ঈশ্বরবাদী পৌত্তলিক আরবীয়রা তাদের
ঈশ্বরের পূজা করতেন। সুতরাং তাদের সমস্ত
মূর্তি আর মিথ্যা ঈশ্বরগণ কাবাতে রাখা থাকত।
তারপরে মোহম্মদ এসে সেই স্থানটিকে দখল করেন এই জায়গাটিকে
একটি পবিত্র স্থান বলে চিহ্নিত করেন। তিনি সমস্ত
মূর্তি সরিযে দেন, কিন্তু তারপরেও এই স্থান
পবিত্রই ছিল। সম্পূর্ন কুরআন-এ ওনারা এই পাপী
পৌত্তলিক আরবীয়দের পরম্পরাকেই মেনে চলে আসছিলেন
আর এই দাবি করছিলেন যে এটি বাস্তবে ঈশ্বরেরই
দান আর এইসব লোকেরা এর সাথে ব্যভিচার
করেছেন। এই খেলা ঘনকটি আসলে আরবীয়দের মিথ্যা দেবতাদের
জন্য তৈরি করা একটি পৌত্তলিক আরবীয় মন্দির ছিল। মোহম্মদ
এলেন আর বললেন এর নির্মাণ আব্রাহাম আর ইসমাইল
মিলে করেছিলেন। মোহম্মদ কি বলেছেন শুনুন:
"স্মরণ কর, যখন ইব্রাহীম ও ইসমাইল কাবা গৃহের প্রাচীর
তুলিতেছিল ('গরু' স্তবক ১২৮) তখন তাহারা বলিয়াছিল
'হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের এই কাজ গ্রহণ কর,
নিশ্চই তুমি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাতা। হে আমাদের প্রতিপালক!
আমাদের উভয়কে তোমার একান্ত অনুগত কর এবং
আমাদের বংশধর হইতে তোমার এক অনুগত
উন্মত্ত করিও।" এই সবকিছুর উৎপত্তি কোথায় এটি
আমি অবশ্যই জানতে চাইব। বাইবেলে এমনটি কোথায় লেখা আছে
যে আব্রাহাম ও ইসমাইল মিলে এই ঘনক তৈরি করেছেন?
এই সব কিছুই তৈরি করা গল্প
আর বাইবেলে এমন কোনো বিষয়েরই
অনুমোদন করে না। পাশাপাশিভাবে মোহম্মদ এমনও বলেছেন যে
"নিশ্চয় সাফা ও মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্তর্ভুক্ত।"
এটি হল সেই সব পাহাড় যেগুলিকে পৌত্তলিকদের দ্বারা পূজা করা হত।
মুসলমানরা এটা বলতে পারেন যে "ঠিক, সেগুলির
পূজা করা উচিৎ কারণ সেগুলি ঈশ্বরের নিদর্শন, এমন
বলবেন না যে এগুলি মিথ্যা দেবতাদের বিষয়ে।" মোহম্মদ পৌত্তলিকদের
সকল প্রথাকেই নিজের করে নিয়েছেন। যখন ওনারা
মক্কার তীর্থ যাত্রাতে যান, কেননা সেই পাঁচটি স্তম্ভ
যা ইসলাম শিক্ষা দেয় ওতে এও শেখানো হয়েছে
যে আপনার জীবনে ন্যুনতম একবার মক্কার যাত্রা করা আবশ্যক,
তখন এরা সকলে সেই ঘনকের সামনে নতজানু
হয়ে তার আশেপাশে ঘুরতে থাকেন আর সেই ঘনকের সাথে
সম্পর্কিত সকল ধার্মিক রীতি পালন করেন। যেটিকে
আমি ভালবেসে "খেলা ঘনক" বলে থাকি।
পিতরের পত্র অধ্যায় ২ এ যান। আসুন দেখি মিথ্যা
নবীদের উদ্দেশ্যে বাইবেলে কি বলা হয়েছে।
মোহম্মদওতো তাই ছিলেন, একজন মিথ্যা নবী।
আপনি প্রশ্ন করতে পারেন এর কি প্রমাণ আছে যে তিনি একজন
নবী ছিলেন? এর উত্তরে বলা যায় যে ওল্ড ও নিউ
টেস্টামেন্টে শিক্ষা দেওয়া প্রতিটি কথার তিনি
বিরুদ্ধাচরণ করেছেন। তিনি মূসার আইনেরও
বিরোধিতা করেছেন, আর আমরা যদি কুরআনের অন্তিমে
চলে যাই তাহলে দেখব যে অন্তিম শিক্ষাগুলিতে বলা আছে
"তিনি আল্লাহ, এক-অদ্বিতীয়,
তিনি কাহাকেও জন্ম দেন নাই এবং তাহাকেও জন্ম দেওয়া হয়
নাই, এবং তাহার সমতুল্য কেহই নাই।" বার বার এই কথাই
বলা হয়েছে "আল্লাহর কোনো পুত্র নেই।" এবং আল্লাহকে
কেহ জন্মও দেন নাই।" ওনারা বলেন যীশুর জন্ম এক কুমারীর
গর্ভে হয়েছিল কিন্তু তারা এও বলেন যে তার কোনো পিতা ছিল না।
সুতরাং ঈশ্বর উনার পিতা হওয়ার পরিবর্তে ওনারও কোনো
পিতা ছিল না। তিনি ছিলেন কেবল একজনের
সন্তান। এর কোনো মানেই হয় না। এটি ঈশ্বরের দেওয়া
শিক্ষাকে আবশ্যিকভাবে খন্ডন করে। এখন পিতরের
২য় পত্রে মিথ্যা নবীদের উদ্দেশ্যে বলা ২ নং অধ্যায়ে ফিরে আসুন,
বাইবেলের মতে "জনগনের মধ্যে নকল নবীরাও ছিল;
তেমনি ভাবে তোমাদের মধ্যেও নকল শিক্ষাগুরু থাকবে,
যারা তোমাদের মধ্যে গোপনে গোপনে সর্বনাশী ভ্রান্তমত
অনুপ্রবেশ করাবে, এবং তাদের মুক্তির জন্য যিনি মূল্য
দিয়েছেন, সেই অধিপতিকে অস্বীকার করে নিজেদের উপরে
দ্রুত বিনাশ (এবং সত্যিই মোহম্মদ যীশুকে ঈশ্বরের পুত্র বলে অস্বীকার করেন)
ডেকে আনবে। অনেকে তাদের যৌন উচ্ছৃঙ্খলতার
দৃষ্টান্তের অনুগামী হবে,
আর তাদের কারণে সত্যের পথ নিন্দার বিষয় হয়ে
উঠবে।" স্তবক নং ১৪ এর দিকে তাকিয়ে দেখুন "তাদের চোখ
ব্যাভিচারে ভরা, পাপ করায় কখনো তৃপ্ত হয় না;
অস্থির মতিগতির মানুষকে ভোলায়; তাদের হৃদয়
অর্থলালসায় অভ্যস্থ-তারা অভিশাপের
সন্তান..." এই বিবরণটি মোহম্মদের জন্য একেবারে সঠিক।
কাফিলার উপরে হামলা করা, পণ্য চুরি করা এই সব কিছু লোভী মানুষের
কাজ! যেমন পরেরে স্ত্রীর প্রতি লোভ করা। তিনি একজন মহিলার পরে অন্য
একজন মহিলা, তারপরে আরো অন্য মহিলাদের সাথে বিবাহ করতে
থাকলেন! উনার চোখে এমন লালসা ছিল যা কখনই সন্তুষ্ট হবার নয়।
১১ জনের সাথে বিয়ে করার কি প্রয়োজন ছিল? এটি
এইজন্য যে আপনি আপনার কাছে উপলব্ধ জিনিসে তৃপ্ত
হচ্ছেন না। অথবা আপনি আপনার যৌবনে বিয়ে
করা স্ত্রীর আনন্দ নিয়ে তৃপ্তি পাননি। এই সব কিছুই
মোহম্মদের উপরে একেবারে সঠিভাবে বসে যায়। যুদ-এ যান।
যুদ হল এর সমান্তরাল অধ্যায় যা এর দুই পৃষ্ঠা পরে বাইবেলে
মিথ্যা নবীদের সম্পর্কে বলা হয়েছে।
স্তবক নম্বর ৩ এ বলা হয়েছে "প্রিয়জনেরা, আমার বড়ই আকাঙ্খা ছিল,
আমাদের সকলের পরিত্রাণ প্রসঙ্গে তোমাদের কাছে কিছু
লিখব; কিন্তু অনুভব করলাম, তোমাদের উৎসাহিত করার জন্য
এই বিষয়ে কিছুটা লেখা আমার কর্তব্য, তথা, পবিত্রজনদের
কাছে একবার চিরকালের মত-সম্প্রদান করা সেই বিশ্বাসের প্রসঙ্গে।
কেননা তোমাদের মধ্যে এমন কয়েকজন ভক্তিহীন
মানুষ গোপনে গোপনে অনুপ্রবেশ করেছে,- এই বিষয়ে
দণ্ডের পাত্র হবার জন্য তারা তো বহুদিন থেকেই চিহ্নিত-যারা
আমাদের ঈশ্বরের অনুগ্রহকে যৌন উচ্ছৃঙ্খলতায় বিকৃত করে, এবং আমাদের
একমাত্র অধিপতি ও প্রভু যীশুখ্রীষ্টকে অস্বীকার করে।"
৭ নং স্তবকে দেখুন "সদোম, গমোরা
আর আশেপাশের শহরগুলোও পথভ্রষ্ট হয়ে একই
প্রকারের যৌন উচ্ছৃঙ্খলতা ও বিকৃত যৌন সংসর্গে
লিপ্ত হয়েছিল; এখন তারা চিরন্তন অগ্নিদন্ড ভোগ করতে করতে
আমাদের চোখের সামনে দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
তা সত্বেও এই লোকেরা সেই সব কিছু করে চলেছে: তাদের নিজেদের
মরীচিকায় চালিত হয়ে তারা দেখকে কলুষিত করে, কর্তৃত্বকে অমান্য করে,
এবং গৌরবের পাত্র যারা তাদের নিন্দা করে।"
মোহম্মদ স্বপ্ন দেখেছিলেন যে তিনি ৬ বছর বয়সী এক
শিশুকে বিয়ে করতে চলেছেন। তাকে যদি একজন বিকৃত মনস্ক
না বলা হয় তাহলে আমি জানি না কি বলতে হবে। এতে বলা হয়েছে
"বিকৃত কামনার শিকার," শিশুকাম হল বিকৃত কামনা।
কোনো পুরুষ যদি কোনো শিশুর সাথে সম্ভোগের ইচ্ছা করে
তবে তা হল বিকৃত। তাকে মিথ্যা নবী
হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
মুসলমানদের এটা বুঝতে হবে যে নিউ টেস্টামেন্ট অনুযায়ী
যা কুরআনের থেকেও মহান পুস্তক,
কারণ নতুন টেস্টামেন্টের একই অধ্যায়ের
মহানতা সম্পূর্ণ কুরআন পুস্তকটির
থেকেও অনেক বেশি। প্রভু যীশু মসীহ আমাদের নিষ্কৃতি!
মোক্ষ! মধ্যস্থতা! সুসমাচার! ইত্যাদি সরবরাহ করছেন,
যদি আপনি বাইবেলের প্রতি বিশ্বাস করেন তাহলে আপনি জানতে
পারবেন যে এতে মোহম্মদের বর্ণনা একটি মিথ্যা নবী হিসাবে করা হয়েছে।
এটি উনার সঠিক ব্যাখ্যা দিয়েছে। আরেকটা জিনিস যার
আমি সবিস্তারে বর্ণনা করতে চাই, আমি এখনো পর্যন্ত
"গরু" এর সকল অধ্যায়কে নিয়ে আলোচনা করে নিয়েছি। এখন আমি
যে অধ্যায়টি নিয়ে কথা বলতে চাই সেই অধ্যায় যীশু ও মরিয়মকে সামনে
নিয়ে আসে। আমার দ্বারা চিহ্নিত উদ্ধৃতিগুলির মধ্যে আমি যাতে সেগুলি
খুঁজে পাই সেজন্য আমাকে একটু সময় দিন...(পৃষ্ঠা পাল্টাতে পাল্টাতে)।
এটি আসলে তৃতীয় অধ্যায়ে রয়েছে। এই অধ্যায়ের নাম হল
সূরা আলে-ইমরান। ইমরান বলতে এখানে আমরামকে বোঝানো হয়েছে।
এখন যদি আপনি বাইবেলকে জানেন তাহলে আপনি জানেন যে
আমরাম কার পিতা ছিল? আপনাদের কি আমরাম ও
যোকেবকে মনে আছে? ওনাদের সন্তান কে ছিলেন? ওনার
সন্তানরা ছিলেন মূসা, হারুন ও মরিয়ম।
আরবীতে মেরিকে মরিয়ম বলা হয়ে থাকে। এটি সেই
ওল্ড টেস্টামেন্টের চরিত্র।
সুতরাং তারা একই নামের ব্যবহার করে থাকেন। যেহেতু মোহম্মদ
নিরক্ষর ছিলেন তাই তিনি বোকার মতো ভুল করেছেন
(সম্পূর্ণ কুরআন জুড়ে) এটি ভেবেছেন যে মরিয়ম,
যিনি ছিলেন হারুণ ও মূসার বোন,
উনিই হলেন যীশুর মা মেরি। এখানেই সমস্যা
রয়েছে, এই দুই চরিত্রের জীবনকালের মধ্যে
২০০০ বছরের ফারাক ছিল। আপনি যাই বিশ্বাস করুন না কেন,
আপনার ধর্ম যাই হোক না কেন, কিন্তু এগুলিতো ঐতিহাসিক প্রমাণিত সত্য।
এমনকি একজন নাস্তিক ব্যক্তিও আপনাকে এটা বলতে
পারেন যে নাজেরতের যীশু একজন সত্যিকারের মানুষ ছিলেন।
যেকেউ এটা তো অবশ্যই জানেন যে মূসা যীশু মসিহার থেকে প্রায় ২০০০ বছর
পূর্বে ছিলেন। চিন্তা করে দেখুন, মূসার পরে ৪০০ বছর বিচারকগণের অধীনে ছিল,
তারপরে রাজাগণ (শৌল, দাউদ, ও সুলেমানদের
১২০ বছর) রাজত্ব করেছেন।
এরপর এসেছেন নাবাতের পুত্র যারবিয়াম যিনি উত্তরের রাজ্যকে
৩৯০ বছরের জন্য পাপের পথে নিয়ে
গিয়েছিলেন। তাহলে ৪০০ যোগ ১২০ যোগ ৩৯০ আর
তারপরে আরো ৫০০ বছরের যুগ। তাহলে আপনারা
দেখতে পাচ্ছেন যে এটি লম্বা সময় ধরে চলছিল। এটি হল
একটি খুবই মুর্খের মতো ভুল যে মূসার বোন
মরিয়ম এবং (উনার ভাষায়) মরিয়ম, যীশুর মায়ের
নামের মধ্যে তালগোল পাকানো। অথবা এমন কিছু
যা আপনি কোনো ছোট শিশুর থেকেই আশা করতে পারেন,
যেখানে ওনারা এমন ভাবেন যে যাত্রাপুস্তক
ও মথি এর চরিত্র একই। চিন্তা করে দেখুন
যাত্রাপুস্তক আর মথি-এর মধ্যে ব্যাবধান অনেক।
যেহেতু উনি নিরক্ষর ছিলেন এবং যেহেতু তিনি নকল
শিক্ষক ছিলেন, তাই তিনি এই ধরণের ভুল করেছেন।
তাই আলে-ইমরানে মরিয়মের জন্মের কথা বলা হয়েছে
এবং মরিয়ম দ্বারা যীশুর জন্মের বিষয়েও কথা বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে "মরিয়ম, ইমরানের মেয়ে!"
কেননা একবার আবার এই জনিসটা মানা হচ্ছে যে এই দুজন
একই ব্যাক্তি। পৃষ্ঠার নীচে দেওয়া পাদটীকাতে বলা হয়েছে যে;
"কুরআনে আছে, ইমরান হচ্ছে কুমারী
মরিয়মের পিতা।" যেহুতু এনার বিষয়ে এই ব্যক্তি
মনে করে কথা বলা হচ্ছে। কিছু লোক একে
এটা বলে চাপা দেবার চেষ্টা করেন যে
"এই সবকিছু এক সমান নয় কিন্তু ঘটনাক্রমে
এই দুজনের নামই ইমরান, কিন্তু এই দুই
ইমরান একেবারে আলাদা।" এখানে এমন প্রমাণ রয়েছে
যাতে প্রমানিত হয় যে এমন ছিল না, যদি আপনি কুরআনের
১৯ নম্বর অধ্যায়ে চলে যান, এর স্তবক নম্বর ২৭ এ এর
বিষয়ে কথা বলা হয়েছে যে কি করে মরিয়ম বের হয়ে মরুভূমিতে
চলে যান আর এক শিশুকে সাথে নিয়ে ফিরে আসেন। এটি বাইবেলের বর্ণনা
থেকে একদম আলাদা। বাইবেলে বলা হয়েছে গামলার কথা,
সরাইখানাতে জায়গা না থাকার বিষয়ে ও জোসেফের সেথায়
উপস্থিত থাকার বিষয়ে, যা কুরআনে বর্ণিত গল্পের চেয়ে
সম্পূর্ণ আলাদা। কুরআনে বলা হয়েছে যে "বাচ্চাটিকে কোলে
তুলে লোকেরা তাকে বলতে থাকেন 'মরিয়ম! তুমি সত্যিসত্যিই
লজ্জা পাবার মতো কাজ করেছ!" তারা এমন এই জন্য বলছিলেন
কারন উনি চলে গিয়েছিলেন তারপর যখন ফিরে আসেন তখন
উনার সাথে একটি বাচ্চাও ছিল। এই গল্পের মধ্যে কোনো জোসেফ নেই,
মরিয়ম কেবলমাত্র মরুভূমিতে চলে গিয়েছিলেন
আর এক শিশুকে সাথে করে ফিরে এলেন। "মরিয়ম!
হারুনের বোন, তুমি নিঃসন্দেহে একটি লজ্জাকর কার্য করেছ!"
হারুনের বোন??? তাহলে কুরআন শুধু এটাই বলে না যে
মোহম্মদ আসলে ওল্ড টেস্টামেন্টের মরিয়মের
সাথে নিউ টেস্টামেন্টের মরিয়মকে একাকার করে দিয়েছেন,
কারণ আরবীতে ওনাদের একই নাম ছিল।
কুরআনের এই সংস্করণের পৃষ্ঠার শেষে দেওয়া পাদটিকাতে
এটি বলা হয়েছে যে "এমন মনে হয় যে
মরিয়্ম, যিনি হারুনের বোন ছিলেন
আর মরিয়ম, যিনি যীশুর মা ছিলেন,
ওনারা একই ব্যক্তি ছিলেন।" এটি আশ্চর্যজনক
কারণ এরা দুইজনই শত সহস্র বছরের ব্যবধানে এসেছিলেন!
কিন্তু আপনি যদি নিরক্ষর হন আর বাইবেল
পড়তে না পারেন তবে এরকম
ভুল হওয়াতো স্বাভাবিকই।
আপনি বাইবেলের অস্পস্ট জ্ঞান ও শোনা কথা
নিয়ে চলবেন তো এমনই হবে।
কুরআনে আরো বলা হয়েছে যে "হারুনের বোন!
আপনার পিতা কখনোই একজন বেশ্যার দালাল
ছিলেন না, আর আপনার মা গণিকা ছিলেন না। উনি ওনাদের
সামনে একটি চিহ্ন তৈরি করলেন আর বাচ্চাদের প্রতি ইশারা করে বললেন।"
(তিনি সেই সময় কথা বলতে পারছিলেন না আর মূক হয়ে গিয়েছিলেন)।
তাই তিনি শিশুর প্রতি ইশারা করলেন, এবং ওনারা বললেন "আমরা এই
দোলনায় রাখা বাচ্চার সঙ্গে কি করে কথা বলতে পারি?
তখনই যে শিশুর কথা বলা হচ্ছিল সে বলে উঠল।" এই নবজাত
শিশুই হলেন যীশু। উনি বলেন "আমি ঈশ্বরের
সেবক (ঠিক আছে বোয়াজকে এখানে নিয়ে এস, আমি হাতেকলমে
করে দেখাতে চাই)। কিন্তু এটি সম্ভবত ভাল উদাহরণ নয়
কারণ এই বাচ্চাটি আমার
কাছে উপলব্ধ সবচেয়ে কম বয়সী বাচ্চা। কুরআনে একেবারে
নবজাত শিশুর কথা বলা হয়েছে। তো এটিই হল
যা কুরআনে লেখা আছে (বাচ্চার সাথে দেখালেন)।
তাহলে নবজাত যীশু বললেন "আমি ইশ্বরের দূত,
তিনি আমাকে এই বইটি দিয়েছেন আর তিনি আমাকে তার
নবী নিযুক্ত করেছেন। আমি যেখানেই যাই
উনার আশীর্বাদ সদা আমার উপরে থাকবে,
আর তিনি আমাকে প্রার্থনা-সভায় নিবিষ্ট হতে নিজের অধীনে এনেছেন,
আর যতদিন আমি জীবিত থাকব ততদিন ভিক্ষা দেবার আজ্ঞা দিয়েছেন।
উনি আমাকে আহ্বান করেছেন যে আমি আমার মায়ের প্রতি সম্মান জানাই
এবং আমাকে অহংকার ও পাপ থেকে শুদ্ধ করেছেন। আমার জন্মের
দিন থেকে শুরু করে আমার মৃত্যু দিন পর্যন্ত এবং যেদিন আমি
জীবিত অবস্থায় উত্থিত হইব সেদিন আমার শান্তি বর্ষিত হোক।"
(যাজক অ্যান্ডারসন বর্ণনা করেছেন যে তিনি শিশুটির সাহায্যে এই
পঠনটিকে আরো বেশি বাস্তবতাপূর্ণ করার চেষ্টা করেছেন আর বাচ্চাটিকে
মরিয়ম নামের এক মহিলাকে ফিরিয়ে দেন, তিনি মস্করা করেন যে
এই মহিলা মথি ও যাত্রাপুস্তকেও ছিলেন) এমন বলা হয়েছে যে যাত্রাপুস্তকের
মরিয়ম সেই মরিয়মই ছিলেন যে যীশুর মা ছিলেন, এই কথারই
অনুরূপ যে এই মেয়েটিও সেই মরিয়ম। শত সহস্র বছর পূর্বেও
এই একই পরিস্থিতি বজায় ছিল।
এটি এমনই একটি ভুল ছিল।
বন্ধুরা এই বইটি একটি নিরক্ষর, মিথ্যা নবীর
দ্বারা লিখিত, যিনি নিজের বাসনার বশবর্তী হয়ে মিথ্যা ভাবধারার
প্রচার করেছিলেন। চলুন কাফিলাগুলিকে লুঠ করি আর
লোকেদের হত্যা করি (মোহম্মদের মতো গলা নকল করে) এবং
আরব দখল করা যাক! উনার কাছে নিজের আধিপত্য বিস্তার
করাই উদ্দেশ্য ছিল আর তার কিছু শিষ্যে তাকে সাহায্য করেছেন। হয়তো
হয়তো তিনি এইসব এই জন্য করেছিলেন কারণ তিনি ১১
জন স্ত্রীর কামনা করেছিলেন! অথবা হয়তো তিনি এটি চেয়েছিলেন
যে সবাই ওনার সামনে নতজানু হোক কারণ তিনি "এখন
পর্যন্ত সবচেয়ে বড় নবী, যীশুর থেকে বড়।" না! যীশুর থেকে বড়
কেউ হতে পারে না কারণ যীশুর নামই সব
নাম থেকে শ্রেষ্ঠ। এই মানুষটি একটি মিথ্যা
নবী ছিলেন যার সমস্ত শিক্ষা হয় অপদেবতার কাছ
থেকে পাওয়া অথবা নিজের মনগড়া কথা। কিন্তু আমার এটা ধারণা
যে উনি এইসব শিক্ষা রাক্ষসদের কাছ থেকেই পেয়েছেন। কারণ আপনি
কেবলমাত্র অপদেবতার সাহায্যেই ১.৬ আরব অনুগামী পেতে পারেন।
কারণ আমার মনে হয় না যে তিনি এটি কেবল নিজের ক্ষমতাতেই
করতে পারতেন। উনার মধ্যে যীশুর বিরুদ্ধে পাপাচার, অশ্লীলতা,
ও নিন্দা ভর্তি ছিল। এটি একটি দুষ্ট ধর্ম যা শুরুর থেকেই
হিংসক ছিল। আমি আপনাকে কুরআনের শুরুর পদ্য পড়ে শোনাচ্ছি,
পরে এতে আরো অনেক কিছু আছে। এতে শুরুতেই বলা হয়েছে
চলো কাফিলার উপরে হামলা করি,
চলো যুদ্ধ করি, হত্যা করি। তিনি তাহাদের
বললেন “আমি তোমাদের হত্যা করার আদেশ দিচ্ছি!”
তিনি তাদেরকে কোনো ধরণের
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পূর্বেই এই কথা
বলেছিলেন। “মক্কার থেকে আসা বন্ধুরা আমার আদেশে তোমরা
হত্যা কর।” “তাদের সবাইকে মেরে ফেল!”
এখন আপনি বলতে পারেন, "এই প্রবচনের উদ্দেশ্য কি?"
এটির কারণ হল আজ আমরা সারা বিশ্বের
গীর্জাগুলির মধ্যে ঐক্য স্থাপনের উদ্দেশ্যে কাজ করছি,
যেখানে লোকেরা এই কথা বলার চেষ্টা করেন যে খ্রীষ্টধর্ম ও
মুসলিম ধর্ম পৃথক কিছুই নয়। এটা এই বিশ্বের
রিক ওয়ারেন্স, য্খন ওনারা এল্টন জনের সাথে হাত না
মিলিয়ে বলেন, "ইসলামের সাথে আমাদের কিকি
মিল রয়েছে, এর দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাক।"
আমাদেরকে আমাদের ও ওদের মধ্যেকার পার্থক্য স্পষ্ট রূপে বুঝে নেওয়া
উচিত, আমাদের ইসলামের সাথে কোনো মিল নেই। ইসলাম একটি জঘন্য
ধর্ম কিন্তু আমি এটিও বলতে চাই যে
মুসলমানদেরকে আমি একটুও অপছন্দ
করি না। আসলে আমি মুসলমানদেরকে অনেক ভালবাসি আর ওদের
বাঁচাতে চাই। আমি কি মোহম্মদকে ঘৃনা করি? হ্যাঁ। আমি কি কুরআনকে
ঘৃনা করি? হ্যাঁ, কিন্তু আমি মুসলমানদেরকে একদমই ঘৃনা করি না।
অনেক খ্রীষ্টানরা মুসলমানদেরকে ঘৃনা করে, এবং তারা সম্পূর্ণ ভুল।
আমি মুসলমানদেরকে ভালবাসি এবং যখনই আমি কোনো মুসলমানের
সাথে দেখা করি, তখন আমি তাদের সাথে খুব ভাল ব্যবহার করি।
আমি উনাদের কাছে গিয়ে এমন বলি না
"তোমরা কি ভেবে এর উপরে বিশ্বাস কর?!?
আমি এই বইটির একটি কপি কিনে জানতে পেরেছি যে
এটি আমার আজ পর্যন্ত পড়া সমস্ত বইয়ের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট বই!"
যদি আমি এরকম বলি তাহলে এটি সত্যি কথাই হবে। এই বইটি নিরর্থক।
ওদেরকে এসব কথা আমি বলি না, এর পরিবর্তে আমি ওদের গিয়ে
সুসমাচারের কথা বলি। আমি ওনাদের বাইবেলের উদাহরণ শোনাই
আর ধর্মগ্রন্থ দেখাই। আমি যদিও ওনাদের এটাই বলি যে ওরা একটি
মিথ্যে ধর্মকে অনুসরণ করে, কিন্তু FWBC
(ফেইথফুল ওয়ার্ড ব্যাপটিস্ট চার্চ) এর মত
অনুযায়ী এটিকে বিতাড়িত কর। আমার এখানে চুপচাপ
বসে থেকে এবং এর থেকে পালানোর লোক নই। এখন আমি
অন্য লোকেদের থেকে এটা শুনেছি যে, টেম্পাতে একজন
লোক সম্প্রতি উদাহরণস্বরূপ একটি মসজিদে গিয়ে জোরে জোরে
চিৎকার করে কুরআনকে ছিড়ে দিয়েছে। বন্ধুরা কুরআনকে ছিঁড়ে
ফেলবেন না, আপনারা ইসলামের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড়
প্রমাণকে কেন ধ্বংস করতে চাইবেন?
আপনারা এটিকে কেন জ্বালিয়ে ফেলবেন? এটি
মোহম্মদ আর ইসলামের প্রতারক হওয়ার সবচেয়ে বড় প্রমাণ।
আমাদেরকে গিয়ে লোকেদের মেরে ওদের ধর্মান্তরিত করার
কোনো প্রয়োজন নেই, কেননা আমরা যাঁকে বিশ্বাস করি
তাঁর কাছে সত্যিকারে শক্তি আছে। এটি হল
যীশুর সুসমাচার। আমাদের মুসলমানদের
প্রতি যা করার প্রয়োজন তা এই নয় যে
আমরা গিয়ে ওদের উদ্দেশ্য জানি যে
উনি কেন কুরআনকে ছিঁড়েছেন আর মসজিদে
গিয়ে চিৎকার করেছেন, কারণ এই সময় এটি ঘৃণ্য
আর এটির প্রয়োজন তখন কেবল মুসলমাদের বাঁচানোরই উদ্দেশ্য
হয়ে যায় না। আপনি এটি বলতে পারেন যে, আজকের
প্রবচনটিওতো মুসলমানদের বাঁচানোর উদ্দেশ্যে কাজ করছে না।
আজকে আমাদের মধ্যে কজন মুসলমান আছেন?
শূন্য। সুতরাং আজ আমাদের এই সভাগৃহে যদি
মুসলমানের সংখ্যা শূন্য হয় তাহলে আমি কেন তাদের বাঁচানোর
জন্য এখানে এই ধর্মপ্রচার করছি? কেউ কি তা আমাকে
বলতে পারেন? এই ধর্মপ্রচারটি কি বিফলে যাচ্ছে না? আমি
খ্রীষ্টানদের মধ্যে প্রচার করছি! যাদের মুক্তি নিশ্চিত তাদের
কাছেই আমি এর প্রচার করছি, যাতে করে আমরা যা বিশ্বাস করি
তার গুরুত্ব আপনারা বুঝতে পারেন, এবং তারা যা বিশ্বাস করেন
তা কতটা মিথ্যা। আমি এই একই জিনিসের কথা বলছি এবং
আমি বাইবেলের করিন্থীয় ১ থেকে শুরু করে আদিপুস্তক,
এবং গলাতীয় ও মথি থেকে শুরু করে ইসাইয়া পর্যন্ত কিছু
গুরুত্বপূর্ণ ধর্মপোদেশ নিয়ে আলোচনা করতে পেরেছি। আপনারা
আজ সন্ধ্যায় যীশুর মধ্যস্থতা সম্বন্ধে, এবং তিনি যে আমাদের
হয়ে মুক্তিপণ হয়ে কাজ করে সে সম্বন্ধে, বিবাহবিচ্ছেদ
সম্পর্কে এবং বাইবেলের মতে কোনো মহিলাকে বিয়ে করতে
হলে ওনার কত বয়স হতে হবে সেসব বিষয় সম্বন্ধে সত্যের
মুখোমুখি হয়েছেন; মুসলমানেরা এই একই
ঈশ্বরের পূজা করেন না, কারণ আপনি যদি পুত্রকে না মানেন
তাহলে পিতারও কোনো অস্তিত্ব নেই! "পুত্রকে যে কেউ
অস্বীকার করে, পিতাকেও সে পায়নি।"
ওনারা অন্য ঈশ্বরের পূজা করেন, তারা অন্য শুভসমাচারে
বিশ্বাস করেন, এবং আজকের এই সন্ধ্যার উদ্দেশ্য এই নয় যে
আপনারা এখুনি ওদের উপরে রেগে গিয়ে মুসলমানদের উপরে
ঝাঁপিয়ে পড়বেন, আর আপনি তাদেরকে ঘৃনা করতে শুরু করবেন।
একদম না, মুসলমানদেরকে ভালবাসুন।
আমি আশা করছি যে আজ সন্ধ্যার এই ধর্মপ্রচারটি
শোনার পর, আপনার হয়তো মনে হচ্ছে যে
যীশুর এই সুসমাচারটি মুসলিমদেরকে শোনানো
উচিৎ, তাহলে আপনি একেবারে সঠিক,
প্রভু তাই চান। এখন যদি আপনি এমন একটি ধারণা নিয়ে বের হন
যে "তাদেরকে আক্রমণ কর! তাদের হত্যা কর!"
তাহলে আপনি আজ সন্ধ্যায় ঈশ্বরের কাঙ্খিত পথে চলছেন না।
আপনাকে পথভ্রষ্ট লোকেদের ভালবাসতেই হবে। এবারে দেখুন
'ইমরান' অধ্যায়ের শুরুতেই কুরআনে কি বলা হয়েছে
"আল্লাহ তার প্রতি অবিশ্বাসীদেরকে ভালবাসেন না,"
এখন আমাকে বলুন বাইবেলেও কি এই একই কথা বলা হয়েছে?
না বাইবেলে বলা হয়েছে "ঈশ্বর আমাদের প্রতি তাঁর ভালবাসা প্রমাণ করেছেন,
কেননা আমরা যখন পাপী ছিলাম, তখনই খ্রীষ্ট
আমাদের জন্য মরলেন।" কিন্তু এতে বলা হয়েছে যে "আল্লাহ
তার প্রতি অবিশ্বাসীদেরকে ভালবাসেন না!" একজন খ্রীষ্টান
হিসাবে আমাদের কুরআন-এর মতো মনোভাব রাখা ঠিক নয়।
সবাইকে হত্যা কর, ঈশ্বর এই মনোভাবের জন্য তাদেরকে ভালবাসেন
না। না, ঈশ্বর তাদেরকে ভালবাসেন এবং তাদেরকে আমাদের
বাঁচাতে হবে, ভালবাসতে হবে, এবং তাদের কাছে সুসমাচারের প্রচার
করতে হবে। আমি একজন ইরানের মুসলিমকেও যীশুর শরণাপন্ন
করতে পেরেছি। এবং ইরান থেকে আসা
মুসলমানদেরকে মৌলবাদী বলা হয়ে থাকে। এছাড়াও আমি
আরো অনেক মুসলমানকে যীশুর শরণাপন্ন করতে পেরেছি।
ঈশ্বরকে ধন্যবাদ কারণ মুসলিমরা সাধারণত সুসমাচার শোনার দিক থেকে
খুব ভাল শ্রোতা হয়ে থাকেন। যদি আপনি অন্তরআত্মাকে
জয় করার মাধ্যমে মুসলমানদের কাছে যান তবে উনারা সাধারণত
সুসমাচারটি শুনবেন। আমাদেরকে মুসলিমদের সামনে
যীশুখ্রীষ্টের এই সুসমাচারটি প্রচারের যে সুযোগ (মিশন কার্যের
সুযোগ আমাদের চারিদিকে রয়েছে) রয়েছে তাকে হাতছাড়া
করলে চলবে না এবং তাদেরকে মধ্যস্থতাকারীর ধারণাটি জানান,
তাদেরকে বলুন যে তাদের আত্মার মুক্তির জন্য মুক্তিপণ রয়েছে,
তাদেরকে আরো বলুন যে যীশু আমাদের পাপের জন্য
ক্রুশবিদ্ধ হলেন, তাকে সমাধিস্থ করা হল এবং তিনি আবার উঠে
এলেন, এসব ধর্মগ্রন্থে রয়েছে যা বিশ্বাস করলে আপনার মোক্ষ প্রাপ্তি
হতে পারে। আপনি বলবেন, যাজক অ্যান্ডারসন-এর
আপনি কি ইসলামের বিরুদ্ধে খুব বেশি প্রচার করছেন না।
আমি ইসলামের বিরুদ্ধে প্রচার করেছি।
আমি মর্মোনবাদের উপরেও ধর্মোপদেশ দিয়েছি
এবং ইসলামের মতে মর্মোনবাদ হল শ্বেতাঙ্গদের ইসলাম।
একই মতবাদ, একই ধর্ম। কিন্তু কখনো কখনো আমি
স্বেচ্ছায় ইসলামের বিরুদ্ধে উপদেশ দিতে চাই না কারণ
বর্তমানে সামরিক পণ্য বাণিজ্যের ক্ষেত্রে স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যে এক
ধরণের প্রচার অভিযান চালু করা হয়েছে যেখানে
মুসলমানদেরকে পাপী বলে প্রচার করা হচ্ছে।
আমাদেরকে হয়তো ওদের সাথে যুদ্ধও করতে হতে পারে
এবং এটি ওনাদেরকে দুর্নীতিপরায়ণ ও অমানবিক করে তুলছে।
এসব নিয়ে আমার কোনো মাথা ব্যাথা নেই। আমার একমাত্র উদ্দেশ্য
হল শান্তিপূর্ণভাবে মুসলিমদের কাছে ঈশ্বরের সুসমাচার পৌঁছে দেওয়া।
আমি কারোরই মৃত্যু দেখতে চাই না। আমি ওদের
সামনে গিয়ে চিৎকার করে আমি কি ভাবছি বলতে চাই না।
এটি আমার উদ্দেশ্য নয়, আমার উদ্দেশ্য হচ্ছে এদেরকে
ঈশ্বরের সান্যিধ্যে নিয়ে আসা।
আপনি বলবেন আপনি কিভাবে এটি করতে চাইছেন? এই ধর্মোপদেশের
মাধ্যমে? না, এই ধর্মোপদেশটি হল তাদের জন্যে যাদের বাঁচানো হয়েছে।
আমরা বেরিয়ে পড়ব এবং তাদের দরজায় কড়া নাড়ব
এবং তাদেরকে সুসমাচারটি দেখাব। এই পরিকল্পনাটি
মুসলিমদেরকে বাঁচানোর জন্য করা হয়েছে। তাদেরকে সুসমাচারটি
দেখান। এই ধরণের মনোভাব একেবারেই নয় যা তাদেরকে ঘৃনা করতে বলে
এবং তাদের মৃত্যুকামনা করে এবং ভাবে যে ওনারা সম্পূর্ণ ভুল।
এখানে এমন কারা আছেন যারা মুসলিমদেরকে ব্যক্তিগতভাবে
জানেন? তারা খুবই ভাল লোক। আর অনেক অনেক ক্ষেত্রে
ওনাদের তো কোনো ভুল থাকেই না, কারণ
ওনারা এমন একটি পরিবেশে বড় হয়েছেন যেখানে
ওনাদেরকে জন্ম থেকেই অন্ধকারে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে আমি নিশ্চিত যে
এদের মধ্যে অনেক দুষ্ট লোকও আছেন। আমাকে ভুল ভাববেন
না, এদের মধ্যে অনেকে আবার পাপী ও দুষ্ট মুসলমানও আছেন
যারা সবাইকে হত্যা করতে চান, এবং কিছু মোল্লা বা
ধর্মীয় শিক্ষক আছেন যারা হলেন আসলে
শিশু যৌন শোষণকারী, সমকামী বা পায়ুকামী। ইসলাম
ধর্মালম্বীদের মধ্যে সব ধরণের দুষ্ট দুর্নীতিপরায়ণ
মানুষ আছেন। কিন্তু সাধারণ মুসলিমরা সাধারণ ক্যাথলিকদের
মতই অথবা সাধারণ অজ্ঞানবাদী বা যেকোনো
স্বাভাবিক মানুষের মতো, ওনারা খুবই ভাল লোক
যারা মূলত কুরআনকে অনুসরণ করেন কারণ
একমাত্র কুরআনের সম্বন্ধেই ওনাদেরকে বলা হয়েছে এবং
ওনারা আপনার কাছ থেকে সুসমাচার শুনবেন বলে আপনার জন্য
অপেক্ষা করছেন। তাই আমি এটি চাইনা যে
আমার এই ধর্মোপদেশটির ভুল ব্যাখ্যা করা হোক এবং
আমি মূলত মুসলিমদের দূর্নীতি ও পাশবিকতা প্রচারের জন্য
এটি করছি। আমি এতে বিশ্বাস করি না। আমি আরববাসীদের,
পারস্যবাসীদের, ইন্দোনেশীয়দের ভালবাসি। আমি চাই
ওনাদেরও মোক্ষ প্রাপ্তি হোক। তাদের জন্য আমার হৃদয়ে
কোনো ঘৃনা নেই। আমি কেবলমাত্র তাদেরকেই ঘৃনা করি যারা
প্রভুকে ঘৃনা করেন, যারা দুশ্চরিত্র।
আর ১.৬ বিলিয়ন লোকের মধ্যে এই সংখ্যা খুবই নগন্য,
ওনারা সবাই অপ্রীতিকর নন। তাই তাদের কাছে
যীশুর সুসমাচার পৌঁছে দিতে হবে এবং মিষ্টি ভাষায় তাদেরকে
সত্যিটা বলুন, এবং তাদেরকে অমানবিক বলে
ছোট করবেন না। লোকেরা ভীষণ আজেবাজে কথা বলেন।
কেউ একজন বলেছেন "আরব দেশের লোকেরা
বিগত বছর ধরে পৃথিবীকে কিছুই দেননি!"
যদিও এই সংখ্যাটিও আরবি ভাষায় লেখা! এমনকি
আমাদের সংখ্যা , , ইত্যাদি সবকিছু হল আরবি সংখ্যা।
হ্যাঁ, এর পরিবর্তে আমরা রোমান সংখ্যা ব্যবহার করতে পারতাম।
আমার ভাবলে খুব ভাল লাগে যে আমাদেরকে MCXIII ইত্যাদি
লিখতে হয় না। এটি বিরক্তিকর! আমাদেরকে এগুলি দেবার জন্য
আরবিদের ধন্যবাদ! কিন্তু ইসলাম আমাদেরকে সেসব কিছুই
দেয়নি। আপনাকে মানব সভ্যতা ও ধর্মের মধ্যে প্রভেদ কিভাবে করতে
হয় তা জানতে হবে। আরব কোনো সমস্যা নয় সমস্যা
হল ইসলাম ধর্মকে নিয়ে। তাই চুপচাপ
বসে থেকে এমন বোকার মতো মন্তব্যগুলি করবেন
না। আরববাসীরা অনেক কিছু করেছেন,
বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ও আরো অনেক কিছু। আরব জাতিকে
নিয়ে কোনো কথা হচ্ছে না, ওদের রাষ্ট্রকে নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই,
এখানে কথা হচ্ছে ধর্ম ও মোহম্মদকে নিয়ে যিনি একজন
মিথ্যা নবী ছিলেন, ওনার উপরে মুত্রত্যাগ কর।
আসুন আমরা নতজানু হয়ে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি।
হে প্রভু, আপনার বাণী প্রচারের জন্য আমরা আপনাকে ধন্যবাদ
জানাচ্ছি, এবং আপনার সুসমাচারের জন্যও আপনাকে ধন্যবাদ
জানাচ্ছি, এটি সত্যিই একতি শুভ সংবাদ। অনুগ্রহ করে
এটিকে সম্পূর্ণ বিশ্বের মানুষ যারা ঈশ্বরের মহিমা থেকে বঞ্চিত তাদের
কাছে পৌঁছে দেবার জন্য আমাদেরকে সাহায্য করুন। হে প্রভু,
মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে এটিকে পৌঁছে দিতে আমাদের
সাহায্য করুন। তারা টেম্পাতে বাস করেন! ওনারা ফিনিক্স-এ বাস করেন!
আমাদের হৃদয়ের ভালবাসা নিয়ে, অশ্রুসজল চোখে, ঈশ্বরের হাত
ধরে বাইবেলের শক্তি নিয়ে তাদের দরজায় কড়া নাড়তে এবং
তাদের খুঁজে বার করতে এবং ওনাদের মধ্যে সুসমাচার প্রচার করতে
আমাদের সাহায্য করুন। হে প্রভু, আমাদেরকে হিন্দুদের কাছে,
বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের কাছে, মিথ্যা ধর্মত্যাগী খ্রীষ্টানদের কাছে পৌঁছাতে
সাহায্য করুন। হে প্রভু, আমাদেরকে ক্যাথলিকদের কাছে পৌঁছাতে সাহায্য
করুন। ক্যাথলিকরাও আজ মুসলমানদের মতই অরক্ষিত। যীশুর
এই সুসমাচার সমস্ত পথভ্রষ্ট লোকেদের কাছে পৌঁছাতে সাহায্য
করুন। হে প্রভু, আমাদের হৃদয়কে হত্যা ও
ঘৃনা ও হিংস্রতা থেকে মুক্ত করুন। যীশু খ্রীষ্টের নামে
আমরা প্রার্থনা করছি, আমেন।
|